অর্থপাচার নিঃসন্দেহে আইনের শাসন এবং দেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য মারাত্মক হুমকি বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন আদালত। এসময় আদালত বলেছেন, ‘যদি মানি লন্ডারিং অপরাধগুলিকে নিয়ন্ত্রণ না করা হয়, তাহলে মানি লন্ডারিং আর্থিক ব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করতে পারে এবং উদীয়মান বাজারে উন্নয়ন প্রচেষ্টাকে দুর্বল করতে পারে।
মানিলন্ডারিং আইনের এক মামলায় সোমবার (২৫ এপ্রিল) রায় ঘোষণার সময় ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন এ পর্যবেক্ষণ দেন।
রায়ে বিচারক উল্লেখ করেন, সংগঠিত অপরাধ এবং অর্থপাচার নিঃসন্দেহে আইনের শাসন এবং দেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য মারাত্মক হুমকি। মানি লন্ডারিং এখন একটি গুরুতর অপরাধ। ক্যাসিনো জুয়া এবং ব্যবসার সাম্প্রতিক ক্রমবর্ধমান, মূলত সংগঠিত অপরাধের জন্য তাদের নোংরা অর্থ আর্থিক ব্যবস্থায় পাচারের জন্য একটি পিছনের দরজা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বেআইনি জুয়ার কার্যক্রম বিশেষ করে গুরুতর, কারণ অবৈধ জুয়া থেকে অর্জিত অর্থ অর্থ পাচার, চাঁদাবাজি এবং জালিয়াতি সহ অন্যান্য কার্যক্রমে অর্থায়নে ব্যবহৃত হচ্ছে।
বিচারক আরও উল্লেখ করে বলেন, ‘যদি মানি লন্ডারিং অপরাধগুলিকে নিয়ন্ত্রণ না করা হয়, তাহলে মানি লন্ডারিং আর্থিক ব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করতে পারে এবং উদীয়মান বাজারে উন্নয়ন প্রচেষ্টাকে দুর্বল করতে পারে। এটি সামাজিক কাঠামো এবং যৌথ নৈতিক মানকে দুর্বল করে। তাই রাষ্ট্রের কাছে দাবি, উপযুক্ত শাস্তি অভিযুক্ত ব্যক্তিদের অর্থ পাচারের অপরাধ থেকে বিরত রাখতে পারে। প্রসিকিউশন ধারাবাহিক ও যোগ্য প্রমাণ যোগ করে বিষয়টি প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। পূর্বোক্ত আলোচনা ও পর্যবেক্ষণের আলোকে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নির্ণয়ের জন্য সমস্ত পয়েন্ট নিষ্পত্তি করা হয়েছে এবং যে কারণে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা দোষী সাব্যস্ত হয়েছে এবং সেই অনুযায়ী শাস্তি পেতে হবে।’
উল্লেখ্য, রাজধানীর ওয়ারী থানার মানিলন্ডারিং আইনের মামলায় বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক ভূঁইয়া ওরফে এনু, রুপন ভূঁইয়াসহ ১১ জনের ৭ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাদের চার কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে তাদের আরও এক বছর করে কারাভোগ করতে হবে।