ভাতিজা বিলকু মিয়া ও চাচা আছিরুল ইসলামের মধ্যে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে পাল্টাপাল্টি একাধিক মামলা আদালতে বিচারাধীন। দীর্ঘদিন ধরে চলমান এসব মামলায় গত সপ্তাহে উভয়পক্ষের মধ্যে আপোষের উদ্যোগ গ্রহণ করে আদালত।
কিন্তু চাইলেই কি? বিষয়টি অত সহজ ছিলনা। দীর্ঘদিনের পুরাতন বিরোধ। কেউ দমবার পাত্র নয়। তাদের জেদ এত উচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে যে কেউ কাউকে না দেখে ছাড়বে না। উভয়ের কথা হল যা হয় আদালতেই হবে।
হ্যাঁ, অবশেষে মীমাংসা আদালতেই হয়েছে। রায়ে একপক্ষ নয়, উভয়পক্ষ জিতে গেছে। আর সেই শীতল সম্পর্কের বরফ গলিয়েছেন পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মতিউর রহমান।
উভয়পক্ষের সাথে দীর্ঘ আলোচনার পর আদালত আদেশ দেন, ভাতিজাকে চাচার জন্য জাপানি টরে কাপড়ের দামি পাজামা-পাঞ্জাবি, আতর, টুপি ও একটি জায়নামাজ দিতে হবে। আর চাচা ভাতিজাকে লিখে দেবে পাঁচ শতক জমি।
মামলার ধার্য তারিখে গতকাল বুধবার (২৭ এপ্রিল) জমি হস্তান্তরের কার্যক্রম শেষ করেছে চাচা। ভাতিজাও আদালতের নির্দেশ মত দুটি ব্যাগে করে চাচার জন্য পায়জামা-পাঞ্জাবি, আতর-টুপি ও জায়নামাজ নিয়ে আদালতের প্রবেশ করে।
এসময় আসামির কাঠগড়া থেকে নেমে আসে চাচা আছিরুল। একে অপরকে বুকে জড়িয়ে ধরে। নিজ হাতে চাচাকে পাজামা-পাঞ্জাবি আর জায়নামাজ তুলে দেয় ভাতিজা। আদালতে সৃষ্টি হয় আর আবেগঘন পরিবেশের। বিচারকের মধ্যস্থতায় দীর্ঘদিনের পুরাতন বিরোধসহ উভয়পক্ষের মধ্যে চলমান একাধিক মামলা নিষ্পত্তি হয়।