পঞ্চগড়ে সম্প্রতি সয়াবিন তেলের কৃত্রিম সংকট ও তেলের সাথে ক্রেতাদের অন্য পণ্য কিনতে বাধ্য করার ঘটনা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর পঞ্চগড়ের সহকারী পরিচালককে আগামী ৮ মে’র মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
সম্প্রতি কয়েকটি গণমাধ্যেমে সয়াবিন তেল নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো মতিউর রহমান স্বপ্রণোদিত হয়ে বিষয়টি আমলে নিয়ে গত বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি পঞ্চগড় বোদা উপজেলায় সহ জেলার পাঁচ উপজেলায় সয়াবিন তেলের সংকট ও দাম চড়া ও সয়াবিন তেলের সাথে অপ্রয়োজনীয় পণ্য না কিনলে সয়াবিন তেল ক্রেতাদের কাছে না বিক্রি করা নিয়ে কয়েকটি গণমাধ্যেমে প্রকাশিত সংবাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেম ইতিমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। বিষয়ে আদালতের নজরে আসে। পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো মতিউর রহমান স্বপ্রণোদিত হয়ে বিষয়টি আমলে নিয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর পঞ্চগড়ের সহকারী পরিচালককে আগামী ৮ মে’র মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন।
আদালতের আদেশনামায় বলা হয়, সরকার নির্ধারিত মূল্যের চাইতে অধিক দামে সয়াবিন তেল বিক্রি করা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। এছাড়া তেলের সাথে অপ্রয়োজনীয় মালামাল কিনতে বাধ্য করার বিষয়টি আরো উদ্বেগজনক। সামনে ঈদুল ফিতর। এ অবস্থায় উচ্চ হারে ভোক্তাদের তেল কিনতে বাধ্য করার বিষয়টি জনভোগান্তি সহ সামাজিক অস্থিরতা তৈরির কৌশল কিনা তা জানতে চেয়ে বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. আশরাফুল ইসলাম ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার সহ জেলার পাঁচ উপজেলার সয়াবিন তেলের সংকট শুরু হয়েছে। দামও বাড়তি। মেই সাথে তেলে সাথে অন্য পণ্য কিনতে ক্রেতাদের বাধ্যে করার বিষয়টি আদালতের নজরে আসে। এপ্রেক্ষিতে পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মতিউর রহমান জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর পঞ্চগড়ের সহকারী পরিচালককে আগামী ৮ মে’র মধ্যে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
এছাড়া আদেশের অনুলিপি পঞ্চগড়ের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়েছে বলেও জানান সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. আশরাফুল ইসলাম।