অভূতপূর্ব এক ইতিহাসের সাক্ষী হতে চলেছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। চলতি বছর একাধিক প্রধান বিচারপতি পেতে পারে দেশটি। নির্দিষ্ট করে বললে সংখ্যাটি হতে পারে তিন, অর্থাৎ এক বছরে দেশটিতে তিনজন প্রধান বিচারপতি হবেন। দেশটির সর্বোচ্চ আদালতের ওয়েবসাইটে পাওয়া তথ্য পর্যালোচনা করে বিষয়টি জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ভারতের তথা ৪৮তম প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করছেন বিচারপতি এন.ভি. রামনা। তিনি চলতি বছর আগস্টের ২৬ তারিখ অবসরে যাবেন। স্বাভাবিক ভাবেই দেশটির প্রধান বিচারপতি পদে নতুন কেউ নিযুক্ত হবে।
বর্তমান প্রধান বিচারপতির অবসরের পর জ্যেষ্ঠতার ক্রম অনুযায়ী প্রধান বিচারপতি হওয়ার কথা বিচারপতি উদয় উমেশ ললিতের। যিনি ইউ ইউ ললিত নামেই সর্বাধিক পরিচিত। কিন্তু দেশটির ৪৯তম প্রধান বিচারপতি হলেও বেশিদিন এ দায়িত্ব থাকতে পারবেন না এই বিচারপতি। কেননা ২০২২ সালের ৮ নভেম্বর তিনি অবসরে যাবেন। ফলে প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পেলেও মাস তিনেকের বেশি এ পদে থাকা হবে না তাঁর।
বিচারপতি ইউ ইউ ললিত অবসরে গেলে জ্যেষ্ঠতার ক্রম অনুসারে পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হওয়ার তালিকায় যিনি সর্বাগ্রে থাকতেন তিনি হলেন বিচারপতি এ. এম. খানউইলকার। তবে বিচারপতি খানউইলকার প্রধান বিচারপতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই কারণ তিনি বর্তমান প্রধান বিচারপতি এন.ভি. রামনার আগেই অবসরে যাবেন। চলতি বছরের ২৯ জুলাই বিচারক হিসেবে তাঁর শেষ কর্মদিবস।
ফলে জ্যেষ্ঠতার প্রথা অনুযায়ী ভারতের ৫০তম প্রধান বিচারপতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের। বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় প্রধান বিচারপতি হলে প্রায় এক বছর দায়িত্ব পালনের সুযোগ রয়েছে। কারণ তিনি অবসরে যাবেন ২০২৩ সালের ১০ নভেম্বর।
প্রসঙ্গত, ভারতের প্রধান বিচারপতি দেশটির রাষ্ট্রপতি সংবিধানের দ্বিতীয় দফায় উল্লেখিত অনুচ্ছেদ ১২৪ অনুযায়ী নিয়োগ করে থাকেন। নিয়োগের ক্ষেত্রে যে প্রাথমিক পদ্ধতি অনুসরণ করা হয় সেটি হচ্ছে যিনি সুপ্রিম কোর্টের সর্বাধিক প্রবীণ বিচারক তিনি প্রধান বিচারপতি হবেন। সংবিধান অনুযায়ী প্রধান বিচারপতিসহ সুপ্রিম কোর্টের অন্যান্য বিচারকদের বয়স ৬৫ হলে অবসর নেওয়া বাধ্যতামূলক।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র জ্যেষ্ঠতার ক্রম অনুসরণ করলেই অভূতপূর্ব এই ঘটনা ঘটতে পারে। অন্যথায় এটি সম্ভব না-ও হতে পারে।