প্রেমের সম্পর্কের জেরে তরুণকে বিয়ের দাবিতে জামালপুর থেকে বরগুনা এসে অবস্থান নেয়া সেই তরুণীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বরগুনার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো: মাহবুব আলম মঙ্গলবার (১০) বেতাগী থানার অফিসার ইনচার্জকে এ নির্দেশ দেন। জাস্টিস অব দ্য পিস আইন এই আদেশ নিয়েছেন বিচারক।
ওই তরুণীর বাড়ি জামালপুরের সড়িষাবাড়িতে। তিনি রাজধানী ঢাকার উত্তরার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করেন এবং সেখানেই থাকেন। তার প্রেমিক মাহমুদুল হাসানের বাড়ি বরগুনার বেতাগী উপজেলার চান্দখালীর কাঠপট্টি এলাকায়। মাহমুদুল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজিতে (আইইউবিএটি) সিভিল প্রকৌশল বিভাগে অধ্যয়নরত।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট সাইমুল ইসলাম রাব্বি বলেন, মাহমুদুল হাসান ও তার পরিবারকে হয়রানি করেছেন জামালপুরের এক তরুণী। তিনি অবৈধভাবে ঘরে প্রবেশ করেছেন এবং সেখানে মাহমুদুল হাসানের মামাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন।
তাই মাহমুদুলের পরিবারের পক্ষে তিনি ওই তরুণীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি আবেদন করেন। আদালত তরুণীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বেতাগী থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। লিখিত নির্দেশ বিকেলের মধ্যে থানায় পৌঁছাতে পারে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে বেতাগী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: শাহ আলম হাওলাদার বলেন, বিয়ের দাবিতে তরুণীর অবস্থান নেয়া ওই বাড়িতে তিনি একাধিকবার গিয়েছেন। পরিবার তথা কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ না করায় পুলিশের পক্ষ থেকে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
তিনি আরো বলেন, আদালতের আদেশ তিনি এখনো হাতে পাননি, পেলেই তা পালন করা হবে।
জানা গেছে, গত ২৮শে এপ্রিল বরগুনার বেতাগী উপজেলার চান্দখালির মাহমুদ হাসানের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেয় জামালপুরের সরিষাবাড়ী গ্রামের ওই তরুণী। স্থানীয়দের সহায়তায় ছেলের বাড়ির তালা ভেঙে ভিতরে বসবাস করতে থাকে মেয়েটি।
এরপর ১১ দিন ধরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে মেয়েটির সাক্ষাৎকার প্রচার হতে থাকে। বিষয়টি নিয়ে তরুণী জানান, মাহমুদুল হাসানও রাজধানীর উত্তরায় থাকতেন। একই এলাকায় থাকায় তাদের মধ্যে পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। সম্পর্কের তিন বছর পর মাহমুদুলকে বিয়ের জন্য বলেন তরুণী। এরপর থেকে নানা অজুহাতে তরুণীকে এড়িয়ে চলতে শুরু করেন মাহমুদুল।