রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) দুই ছাত্রীকে যৌন হয়রানি ও মানসিকভাবে উত্ত্যক্তের ঘটনায় ওই ইনস্টিটিউটের শিক্ষক বিষ্ণু কুমার অধিকারীর চার বছরের ইনক্রিমেন্ট ও পদোন্নতি স্থগিত করা হয়েছে।
রাবি উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৫১৪তম সিন্ডিকেট সভায় রোববার (২৯ মে) রাতে এ সিদ্ধান্ত হয়। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এসব ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ইনক্রিমেন্ট ও পদন্নোতি স্থগিতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিন্ডিকেট সদস্য সহকারী অধ্যাপক সাদিকুল ইসলাম সাগর। তিনি বলেন, ‘ছাত্রী যৌন হয়রানি ও মানসিক উত্ত্যক্তের ঘটনায় শিক্ষা ও গবেষণা ইনিস্টিউটের শিক্ষক বিষ্ণু কুমার অধিকারীর ইনক্রিমেন্ট ও পদোন্নতি স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া লিখিতভাবে তাকে সতর্ক করারও সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৫ ও ২৭ জুন দুই ছাত্রী ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষের কাছে সহকারী অধ্যাপক বিষ্ণু কুমার অধিকারীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মানসিকভাবে উত্ত্যক্তের অভিযোগ করেন। পরে ইনস্টিটিউটের পরিচালককে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ। ২৮ জুন দুই ছাত্রী নিরাপত্তা চেয়ে মতিহার থানায় জিডি করেন। কমিটি অভিযোগের সত্যতা পায়। এরপর ৩ জুলাই ইনস্টিটিউটের একাডেমিক কমিটির পক্ষ থেকে অভিযুক্ত শিক্ষককে সব একাডেমিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এছাড়া সিন্ডিকেট সভায় আরও দুই শিক্ষককে স্থায়ী অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। স্থায়ী অব্যাহতি প্রাপ্ত শিক্ষকেরা হলেন- মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক উম্মে হাবিবা ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সালমা সুলতানা।
এ বিষয়ে সহকারী অধ্যাপক সাদিকুল ইসলাম সাগর বলেন, ‘বিধিবহির্ভূতভাবে দীর্ঘদিন কর্মস্থল থেকে বাইরে থাকায় মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক উম্মে হাবিবাকে এবং সুপারভাইজার ও ডাক্তারের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে দীর্ঘদিন কর্মস্থল থেকে দূরে থাকায় ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সালমা সুলতানাকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়েছ।’