জোবাইদাকে পলাতক ঘোষণা: আপিল বিভাগের রায় হাইকোর্টে জমা দিল দুদক
(বাম থেকে) বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট। ছবি: জয়দীপ্তা দেব চৌধুরী। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান। (পুরনো ছবি)

জোবায়দার মামলায় সংবিধান লঙ্ঘন করেছে হাইকোর্ট: আপিল বিভাগ

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী পলাতক জোবায়দা রহমানের মামলা শুনে হাইকোর্ট সংবিধান লঙ্ঘন করেছে বলে জানিয়েছেন আপিল বিভাগ।

আজ বুধবার (১ জুন) জোবায়দার দুর্নীতি মামলার আপিল বিভাগের দেয়া রায়ের ১৬ পাতার পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে।

রায়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানকে পলাতক ঘোষণা করেছেন আপিল বিভাগ। ২০০৮ সালে আদালতে আত্মসমর্পণ না করে কিভাবে হাইকোর্ট এ মামলা শুনলেন তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন আপিল বিভাগ।

পলাতক আসামি দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টে কোনো আবেদন করতে পারবে না উল্লেখ করে আপিল বিভাগ বলেন, ২০০৮ সাল থেকেই পলাতক হিসেবে গণ্য হবেন তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা।

একইসঙ্গে হাইকোর্টের দেওয়া আট সপ্তাহের মধ্যে জোবায়দার আত্মসমর্পণের আদেশ বাতিল করেন আপিল বিভাগ।

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ লিখিত রায়ে বলেছেন, পলাতক আসামির মামলা শুনে সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে আইন বহির্ভূতভাবে জোবায়দাকে দেয়া হয়েছে অতিরিক্ত সুবিধা।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের স্ত্রী জোবায়দা রহমানের দুর্নীতি মামলা চলবে বলে গত ১৩ এপ্রিল রায় দেন আপিল বিভাগ। কিন্তু সেই রায়ের কোন ব্যাখ্যা সেদিন দেননি দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

জোবায়দা রহমানকে পলাতক ঘোষণা করে বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ বলেন, শত বছরের নজির ভেঙে জোবায়দার মামলা গ্রহণ করেছিলেন হাইকোর্ট; যা অবৈধ এবং সংবিধান লঙ্ঘন।

সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদের ব্যাখ্যা দিয়ে আপিল বিভাগ বলেন, আইনের দৃষ্টিতে সবাইকে সমান বলা হলেও জোবায়দা রহমানকে অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়া হয়েছিল।