মিয়ানমারে ১৯৯০ সালের পর কোনো মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়নি। ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চির দলের সাবেক সংসদ সদস্য ও গণতন্ত্রপন্থী একজন অ্যাক্টিভিস্টসহ চারজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে যাচ্ছে দেশটির জান্তা সরকার।
ফলে তিন দশকের বেশি সময় পর অপরাধের দায়ে আইনগত সর্বোচ্চ এ সাজা পুনরায় দেশটিতে কার্যকর হতে যাচ্ছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার (৩ জুন) বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে।
জান্তা সরকারের মুখপাত্র জাও মিন তুন এএফপিকে বলেন, সাবেক এমপি ফিও জেয়া থাও এবং গণতন্ত্রপন্থী অ্যাক্টিভিস্ট জিমিসহ চারজনকে রায় অনুসারে ফাঁসি দেওয়া হবে।
গত বছর সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারে ক্ষমতায় আসে জান্তা সরকার। এরপর থেকে দেশটিতে সেনাবিরোধী আন্দোলনে কয়েক ডজন মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
সু চির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির সদস্য এমপি ফিও জেয়া থাওকে গত নভেম্বরে গ্রেফতার করা হয়। গত জানুয়ারিতে তার মৃত্যুদণ্ডের রায় দেওয়া হয়। এছাড়া জিমি নামে পরিচিত বিশিষ্ট গণতন্ত্রপন্থী অ্যাক্টিভিস্ট কিয়াও মিন ইউকেও মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন মিয়ানমারের সামরিক আদালত। দুজনই সন্ত্রাসবাদের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।
এ নিয়ে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের মুখপাত্র জাও মিন তুন বলেন, তারা আপিল ও সাজা সংশোধনের জন্য অনুরোধপত্র পাঠানোর আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছেন। আদালত সেটি প্রত্যাখান করে দিয়েছেন।
তবে কবে মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকর করা হবে তা নিয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি মিয়ানমারের জান্তা সরকারের মুখপাত্র।
সূত্র: এনডিটিভি