বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানকে আইনের দৃষ্টিতে পলাতক ঘোষণা করে দেওয়া আপিল বিভাগের রায় হাইকোর্ট বিভাগে জমা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ রোববার (৫ জুন) দুদকের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চে এ রায় জমা দেন।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে এই আইনজীবী বলেন, কাফরুল থানার যে মামলায় জুবাইদা রহমানকে আপিল বিভাগ পলাতক বলছেন সেই মামলায় এ বেঞ্চে তারেক রহমানের দুটি এবং জুবাইদা রহমানের একটি রিট আবেদনের ওপর রুল শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে। এ কারণে আপিল বিভাগের রায়টি জমা দিয়েছি।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা দায়ের করে দুদক।
মামলায় তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। পরে একই বছরে জুবাইদা রহমানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
ওই রুলের শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে মামলা বাতিলে জারি করা রুল খারিজ করে দেন। একইসঙ্গে জুবাইদা রহমানকে আট সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণেরও নির্দেশ দিয়েছিলেন।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেন জুবাইদা রহমান। গত ১৩ এপ্রিল জুবাইদা রহমানের আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। সেই রায়ে জুবাইদা রহমানকে পলাতক বলে উল্লেখ করেন আপিল বিভাগ।
এদিকে একই মামলায় ২০০৭ সালে তারেক ও জুবাইদা পৃথক রিট আবেদন করেন। রিটে জরুরি আইন ও এ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেন। হাইকোর্ট রুল জারি করে স্থগিতাদেশ দেন।
রুল জারির ১৫ বছর পর দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৯ এপ্রিল রিট মামলা হাইকোর্টের কার্যতালিকায় ওঠে। এরপর হাইকোর্ট রুল শুনানির জন্য ২০ এপ্রিল দিন ঠিক করেন।
কিন্তু নির্ধারিত দিনে তারেক-জুবাইদার পক্ষে সময় চেয়ে আবেদন করা হয়। এপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট শুনানির জন্য ২৯ মে দিন ঠিক করেন। পরে ২৯ মে ফের সময় চেয়ে আবেদন করেন তারেক ও জুবাইদার আইনজীবী। পরে হাইকোর্ট ৫ জুন রুল শুনানির জন্য দিন ধার্য করে দেন।