'বেশি স্মার্টনেস দেখাবেন না, কারাগারে পাঠিয়ে দেব'
হাইকোর্ট

হাইকোর্টে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন এবি ব্যাংকের দুই কর্মকর্তা

আদালতের আদেশ থাকা সত্ত্বেও এক ব্যবসায়ীকে ঋণ সংক্রান্ত ব্যাংক স্টেটমেন্ট প্রদান না করার ঘটনায় হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন এবি ব্যাংকের দুই কর্মকর্তা।

আজ রোববার (৫ জুন) বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে ক্ষমা প্রার্থনার লিখিত আবেদন দাখিল করা হয়েছে।

ওই দুই কর্মকর্তা হলেন— এবি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের এভিপি কে এম আমিনুল ইসলাম ও সাতক্ষীরা ব্র্যাঞ্চের ম্যানেজার মো. সহিদুজ্জামান।

তাদের আইনজীবী আবু তালেব বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

আদালতের আদেশ থাকা সত্ত্বেও ব্যবসায়ী সফিউর রহমানকে ঋণ সংক্রান্ত ব্যাংক স্টেটমেন্ট প্রদান না করায় গত ৩১ মে এবি ব্যাংকের এই দুই কর্মকর্তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। গুলশান ও সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। একইসঙ্গে এই দুজনকে ৫ জুন আদালতে হাজির করতে বলেন হাইকোর্ট।

সেদিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ওয়েস আল হারুনী। রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর দেয়া তথ্য মতে, সাতক্ষীরার সফি এন্টারপ্রাইজের মালিক সফিউর রহমান এবি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। ঋণের বিপরীতে তিনি একটি ব্যাংক স্টেটমেন্ট চান। কিন্তু এবি ব্যাংক থেকে তাকে ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেওয়া হয়নি। ব্যাংক স্টেটমেন্ট দিতে তারা অস্বীকার করে। পরবর্তীতে সফিউর রহমান হাইকোর্টে রিট করেন।

রিট শুনানির এক পর্যায়ে হাইকোর্ট রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে এবি ব্যাংকের হেড অফিসে ও সাতক্ষীরা শাখার ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ওয়েস আল হারুনী ব্যাংকটির হেড অফিসের এভিপি আমিনুল ইসলাম ও সাতক্ষীরা ব্রাঞ্চের ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলেন।

এসময় তিনি আদালতের আদেশ অনুযায়ী ব্যবসায়ী সফিউর রহমানকে ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেওয়ার কথা বলেন। এছাড়া এভিপি আমিনুল ইসলামকে আজ কোর্টে হাজির থাকতে বলেন।

এপ্রেক্ষিতে রিটকারী এবি ব্যাংকের সাতক্ষীরা শাখায় গিয়েছিলেন স্টেটমেন্ট আনতে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তা দেয়নি। আদালতের আদেশের পরও ব্যাংক স্টেটমেন্ট না দেওয়ায় এবং এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে হাজির না হওয়ায় তাদের গ্রেপ্তারের আদেশ দেন উচ্চ আদালত।

তবে এই আদেশের পর দুই কর্মকর্তা গত বৃহস্পতিবার (২ জুন) স্বেচ্ছায় হাইকোর্টে আত্মসমর্পণ করতে এসেছিলেন।