কোনো বিচারক পাবলিক স্টেটমেন্ট দিতে পারবেন না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। তিনি বলেছেন, প্রধান বিচারপতির অফিস একটি পাবলিক অফিস, শুধু তিনি মিডিয়ার সামনে কথা বলতে পারেন। অন্য কোনো বিচারক বা বিচারপতি তা পারেন না।
মৌলভীবাজার শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে গত শুক্রবার (৩ মে) রাতে মৌলভীবাজার পৌরসভা আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধান বিচারপতি।
আরও পড়ুন: এক যুগে মামলাজট বেড়ে দ্বিগুণ, প্রতি বিচারকের ঘাড়ে ২৩০০ মামলা
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বিচার বিভাগকে ডিজিটাল করা হচ্ছে। সেটি ধাপে ধাপে নিম্ন আদালত পর্যন্ত পৌঁছাবে।’
এ সময় তিনি মৌলভীবাজারের মানুষের প্রশংসা করে বলেন, আজকে যে সম্মান আমাকে দেখিয়েছেন তা কখনো ভোলার মতো নয়। তিনি পৌরসভার মেয়র, পৌরসভার কর্মকর্তাসহ সকলের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: আমরা সবাই ‘বিচারক’: প্রধান বিচারপতি
মৌলভীবাজার পৌর সভার মেয়র মো. ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সহধর্মিনী হাফিসা বানু, জেলা প্রশাসক (ডিসি) ড. উর্মি বিনতে সালাম, পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মনজুর রহমান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মিছবাহুর রহমান, মৌলভীবাজার জেলা চেম্বারের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেন, কুলাউড়া পৌরসভার মেয়র অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ, কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জুয়েল আহমদ প্রমুখ।
সভাশেষে প্রধান বিচারপতিকে সোনার তৈরি দুটি পাতাসহ একটি কুড়ির চায়ের ক্রেস্ট ও সোনার চাবি উপহার দেন পৌর মেয়র মো. ফজলুর রহমান। এ সময় এটর্নি জেনারেলকে সোনা দিয়ে বানানো দুটি পাতার একটি কুড়ির ক্রেস্ট দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: অর্থবিত্ত নয়, সমাজে আইনের শাসন নিশ্চিত করাই আইনজীবীর কাজ: প্রধান বিচারপতি
মৌলভীবাজারের স্থানীয় সংস্কৃতির ধামাইল, মনিপুরী নৃত্য, মৃদঙ্গ নৃত্য, হাসান রাজা এবং রাধারমনের গান পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।
এর আগে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান মৌলভীবাজার জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে বিচারপ্রার্থী মানুষের জন্য নবনির্মিত ‘ন্যায়কুঞ্জ’ এর উদ্বোধন করেন।