অবৈধভাবে এক কোটি ১৯ লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ রাজশাহী সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পরিমল কুমার কুরীর স্ত্রী সোমা সাহার (৪৪) বিরুদ্ধেও মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ মঙ্গলবার (৭ জুন) দুপুরে দুদকের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আমির হোসাইন বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪-এর ২৭(১) এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় মামলাটি করেন।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, আসামি একজন গৃহিণী। তার বৈধ কোনও আয়ের উৎস নেই। কিন্তু তিনি স্বামীর অসাধু উপায়ে অর্জিত অর্থকে বৈধ করার অপচেষ্টায় অংশ নিয়েছেন। স্বামীর অবৈধ উপায়ে অর্জিত স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মালিকানা অর্জন করে তা আয়কর নথিতে প্রদর্শন করেছেন।
এই বিষয়ে অনুসন্ধান শেষে কমিশন আসামি সোমা সাহার নামে সম্পদ বিবরণী নোটিস জারির সুপারিশ করে প্রতিবেদন দাখিল করে। পরে আসামি সোমা সাহা তার সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। যেখানে এই অবৈধ উপার্জনের বিষয়টি উঠে এসেছে। এরপর কমিশনের অনুমোদনের পর আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
মামলা হয়েছে পরিমল কুমার কুরীর বিরুদ্ধেও
এর আগে, অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে সোমবার (৬ জুন) জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের রাজশাহী সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পরিমল কুমার কুরীর বিরুদ্ধে মামলা করেছিল দুদক।
যেখানে তার বিরুদ্ধে আয়কর বিবরণী যাচাই করে ৩৬ লাখ ১২ হাজার ৬৭৯ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য দেওয়ায় ও ৫০ লাখ ৪৩ হাজার ৫১৬ টাকার সম্পদ অর্জনের উৎসের সন্ধান দিতে না পারায় মামলাটি করা হয়। সেই মামলার বাদীও আমির হোসাইন।
জানা গেছে, এ বিষয়ে অনুসন্ধান শেষে দুদক পরিমল কুমার কুরীর সম্পদ বিবরণী নোটিশ জারির সুপারিশ করে প্রতিবেদন দাখিল করে দুদক। পরে দুদকের আদেশে আসামী পরিমল কুমার কুরী দুর্নীতি দমন কমিশনে তার সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন।
পরে তা যাচাই করে ৩৬ লাখ ১২ হাজার ৬৭৯ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন পরিমল কুমার কুরী। এছাড়া ৫০ লাখ ৪৩ হাজার ৫১৬ টাকার সম্পদ অর্জনের উৎসের সন্ধান তিনি দিতে পারেনি। অবৈধভাবে এ সম্পদ অর্জনের অপরাধে তিনি অভিযুক্ত হন।
এরপর তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার সুপারিশ করেন। সোমবার মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলাটি মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়েছে।