ভুয়া ওয়ার্ক অর্ডারের মাধ্যমে এবি ব্যাংক থেকে ১৭৬ কোটি ১৮ লাখ টাকা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের মামলায় পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের আদেশ পালনে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ মঙ্গলবার (১৪ জুন) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এমন আদেশ দিয়েছেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
পরে আমিন উদ্দিন মানিক জানান, এ মামলায় পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের নির্দেশ থাকলেও কী পদক্ষেপ নিয়েছে সেই বিষয়ে দুদকের চেয়ারম্যান, আইজিপি ও অ্যাডিশনাল এসপির (স্পেশাল ব্রাঞ্চ) কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ২৬ জুন এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে।
ভুয়া ওয়ার্ক অর্ডারের মাধ্যমে এবি ব্যাংক থেকে টাকা আত্মসাতের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় গত বছরের ৭ ডিসেম্বর ব্যাংকটির ১৫ কর্মকর্তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছিলন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করার জন্যও বলেছিলেন।
ওইদিন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয় এবি ব্যাংকের ১৭৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ হয়েছে। এ সূত্র ধরে গত ৯ জুন একটি মামলা হয়। ওই মামলায় ১৭ জনকে আসামি করা হয়। এ ১৭ জনের মধ্যে আসামি শহীদুল ইসলাম ও আব্দুর রহিম আগাম জামিনের আবেদন করেন। আগাম জামিনের পরে তারা নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। নিম্ন আদালত তাদের জেলে পাঠিয়ে দেন। এরপর জেল থেকে তারা জামিন চেয়ে নিয়মিত আপিল করেন। আদালত শুনানি শেষে দুজনের জামিন প্রশ্নে রুল দেন।’
একই সঙ্গে আগামী সাতদিনের মধ্যে অন্য ১৫ আসামিকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন আদালত। পাশাপাশি এ ১৫ জন যাতে বিদেশে যেতে না পারে সেজন্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
ওই ১৫ আসামি হলেন— এরশাদ আলী, এবিএম আব্দুস সাত্তার, আনিসুর রহমান, রুহুল আমিন, ওয়াসিকা আফরোজী, মুফতি মুস্তাফিজুর রহমান, সালমা আক্তার, মোহাম্মদ এমারত হোসেন ফকির, তৌহিদুল ইসলাম, শামীম এ মোরশেদ, খন্দকার রাশেদ আনোয়ার, সিরাজুল ইসলাম, মাহফুজ উল ইসলাম, মশিউর রহমান চৌধুরী, শামীম আহমেদ চৌধুরী।
এর আগে গত বছরের ৮ জুন এরশাদ ব্রাদার্স করপোরেশনের মালিক এরশাদ আলী, ব্যাংকের সাবেক এমডি শামীম আহমেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি দায়ের করা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন- এরশাদ ব্রাদার্স করপোরেশনের মালিক এরশাদ আলী, এবি ব্যাংক কাকরাইল শাখার সাবেক ম্যানেজার এ বি এম আব্দুস সাত্তার, কাকরাইল শাখার সাবেক রিলেশনশিপ ম্যানেজার মোহাম্মদ আবদুর রহিম, কাকরাইল শাখার এসভিপি মো. আনিসুর রহমান, সাবেক ভিপি শহিদুল ইসলাম, এভিপি মো. রুহুল আমিন, ইভিপি ওয়াসিকা আফরোজ, সাবেক ইভিপি মুফতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক এসইভিপি সালমা আক্তার, এভিপি মো. এমারত হোসেন ফকির, সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার মো. তৌহিদুল ইসলাম, এমভিপি শামীম এ মোরশেদ, কাকরাইল শাখার ভিপি খন্দকার রাশেদ আনোয়ার, এভিপি সিরাজুল ইসলাম, সাবেক ভিপি মোহাম্মদ মাহফুজ উল ইসলাম, কাকরাইল শাখার ডিএমডি মশিউর রহমান চৌধুরী ও সাবেক এমডি শামীম আহমেদ।