ভবিষ্যৎ তাদের হাতেই, যারা তাদের স্বপ্নকে বিশ্বাস করে। আর সেই স্বপ্নে বিশ্বাস রেখে যারা এগিয়ে চলে তারাই হচ্ছে স্বপ্নবাজ। তেমনই এক স্বপ্নবাজ নারীর নাম রাওমান স্মিতা। স্মিতা পেশায় একজন আইনজীবী। পাশাপাশি তিনি একজন লেখক ও লাইফকোচ।
সাফল্যের দারপ্রান্তে থাকা তরুণ এই আইনজীবীর গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ির পাংশা উপজেলার নাদুরিয়া গ্রামে এবং বেড়ে উঠা ঢাকার রূপ নগরে। বাবা হোসাইন মেহাম্মদ মুত্তালিব পেশায় একজন ব্যবসায়ী এবং মা নাশিদ আফশানা গৃহিণী। স্বামী আহসানুল আলম জন ও কন্যা ইনায়া তেহরীম আলম।
দুই ভাইবোনের মধ্যে তিনি বড়। বাবার ব্যবসায়িক কাজের কারণে স্মিতা বিভিন্ন সময়ে অনেকগুলো স্কুল পরিবর্তন করেছেন, তাই স্কুল জীবনে তেমন বন্ধুত্বের সখ্যতা হয়ে ওঠেনি। মাধ্যমিক শেষ করেছেন ঢাকার নিউ মডেল হাই স্কুল থেকে এবং উচ্চমাধ্যমিক শেষ করেছেন কলেজ অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ (কোডা) থেকে।
ছিলেন বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। উচ্চমাধ্যমিক শেষ করে ভর্তি হন ফার্মেসি বিভাগে। কিন্তু রাওমানের মন টিক ছিলনা ফার্মেসি বিভাগে!
মন টিকবেই বা কি করে কারণ তাঁর ভবিষ্যৎ তো আইন জগতে।
ফার্মেসি বিভাগে ছেড়ে এবার ভর্তি হলেন আইন বিভাগে। আইন বিষয় পড়তেই তার ভাল লাগে। সত্যিকার অর্থে ছোট বেলা থেকেই আইনজীবীর মত স্বাধীন পেশার প্রতিই সুপ্ত ঝোঁক ছিল স্বাধীনচেতা স্মিতার।
আইন বিষয় বা আইনপেশা বেছে নেয়ার কারণ জানতে চাইলে আইনজীবী রাওমান স্মিতা জানান, “আমি মানুষের জন্য কাজ করতে ভালবাসি, পাশাপাশি নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করতে ভালাবাসি। আইন পেশা এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে প্রতি মুহুর্তেই এই বিষয়গুলো রয়েছে। আজীবন এখানে কাজের সুযোগ রয়েছে, স্বাধীনতা তো আছেই। মানুষকে সাহায্য করার বেশ সুযোগও আছে, আর বেশ চ্যালেঞ্জিংও বটে। এ সবকিছু বিবেচনা করেই আইন পেশা কে বেছে নেয়া”।
তরুণ এই আইনজীবী ইতিমধ্যে আইনচর্চার পাশাপাশি লিখেছেন বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় বই যার মধ্যে ইনসাইড আউট লাইফ কোচিং: থিওরি অব হ্যাপিনেস এবং রঙিন প্রজাপতি অন্যতম।
থাইল্যান্ড থেকে লাইফ কোচিংয়ের উপর নিয়েছেন উচ্চতর প্রশিক্ষণ। আইনচর্চার পাশাপাশি ছবি আঁকতে বেশ ভালবাসেন তিনি।
প্রতিষ্ঠা করেছেন ল’ থিঙ্কারস ওয়ান স্টপ ল’ ফার্ম ও গ্লোবাল ল’ থিঙ্কারস সোসাইটি’। এছাড়া তিনি যুক্তরাজ্যের সংগঠন ওয়ার্ল্ড বুক রেকর্ডস নামে একটি ইন্টারন্যাশনাল সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত আছেন। তিনি এই সংগঠনের বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের প্রসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বসবাসযোগ্য ও নিরাপদ পৃথিবীর লক্ষ্যে তিনি ‘রাওমান স্মিতা-ইনসাইড আউট লাইফ কোচিং একাডেমি’ চালু করেন, যার মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে মানুষকে সুখী হওয়ার ও পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার বিষয়ে বিভিন্ন রকম প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছেন তরুণ এই সফল আইনজীবী।
লিখেছেন: জি. এম-আদল