আদালতে মিথ্যা মামলায় দায়ের এবং মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ায় মামলার বাদী ও দুজন সাক্ষীর বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা নির্দেশ দিয়েছে হবিগঞ্জের একটি আদালত।
আজ বুধবার (১৫ জুন) হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জাকির হোসাইন এ আদেশ দেন।
আদালত যাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে বলেছেন তারা হলেন- বাহুবল উপজেলাধীন সোয়াইয়া সাকিনের সাদত আলীর পুত্র মিথ্যা মামলার বাদী মানিক মিয়া এবং ওই মামলার সাক্ষী বাহুবলস্থ মীরপুর সাকিনের লাকী ফার্নিচার মার্ট এর মালিক মোঃ ফিরোজ মিয়া ও মামলার অপর সাক্ষী মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ থানার দক্ষিণ রামচন্দ্রপুর সাকিনের রসময় দাসের পুত্র হরিপদ দাস দ্বীপ।
আদেশের বিষয়টি ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের স্টেনো টাইপিস্ট মোহাম্মদ মোতাহের হোসেন। তিনি বলেন, মিথ্যা মামলা দায়ের করায়, মিথ্যা অঙ্গীকারনামা তৈরী করায় ও আদালতে হাজির হয়ে শপথপূর্বক মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ায় মামলার বাদী ও দুই সাক্ষীর বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়েরের নির্দেশ প্রদান করেছেন। আদালত নিজেই বাদী হয়ে উক্ত মামলা দায়ের করেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, সাহাব উদ্দিন হরিপদ দাস থেকে সুদের উপর ২০ হাজার টাকা ঋণ নেন। ঋণ গ্রহণের সময় সাহাব উদ্দিনের কাছ থেকে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রাখা হয়। এরপর হরিপদ দাস দ্বীপ ওই সাদা স্ট্যাম্পে একটি অঙ্গীকার নামা সৃজনপূর্বক ৪ লাখ ৬০ হাজার টাকার দাবি করে মানিক মিয়াকে দিয়ে ২০১৭ সালের ২২ অক্টোবর সাহাব উদ্দিনকে আসামিকে করে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
মামলা বিচারকালে জেরায় সাক্ষী হরিপদ দাস দ্বীপ ওই স্ট্যাম্পের বিষয় ও সৃজিত অঙ্গীকারনামার কথা স্বীকার করেন। মামলায় যুক্তিতর্ক শুনানী শেষে রায় প্রচার করে আদালত মিথ্যা মামলা দায়ের করায়, মিথ্যা অঙ্গীকারনামা তৈরী করায় ও আদালতে হাজির হয়ে শপথপূর্বক মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ায় মামলার বাদী ও সাক্ষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিয়মিত মামলা দায়েরের নির্দেশ প্রদান করেন।
আদালতে আসামীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট আব্দুর রউফ এবং বাদীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান।