মহান ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিসৌধ ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের প্রতিকৃতি বা কাঠামো অনুসরণ করে দেশ-বিদেশের সব শহীদ মিনার নির্মাণে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করতে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
জনস্বার্থে দায়ের করা এ সংক্রান্ত রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১৪ জুন) হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
একই সঙ্গে এই নীতিমালা প্রণয়নে নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিবকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে এদিন রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম মিলন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
এর আগে চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি রিট করেন আইনজীবী শহিদুল ইসলাম মিলন। ওই রিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে দেশ–বিদেশে শহীদ মিনার নির্মাণে নীতিমালা প্রণয়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করা হয়।
আইনজীবী মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, শহীদ মিনার ভাষা আন্দোলনের প্রতীক। ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করায় এখন শহীদ মিনার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত। অথচ দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন জায়গায় নানা আকৃতির শহীদ মিনার নির্মাণ হচ্ছে।
রিটকারী আইনজীবী আরো বলেন, বিভিন্ন কাঠামোর শহীদ মিনার নির্মাণের কারণে দেশ–বিদেশের মানুষরা কোন আকৃতির শহীদ মিনারকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার প্রতীক হিসেবে গ্রহণ করবেন, এ নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দিতে পারে। যে কারণে রিটটি করা হয়।