‘অবৈধ সম্পদ’ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পলাতক আসামি হওয়ায় কোনো আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে আজ রোববার (২৬ জুন) হাইকোর্টের বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি ইজহারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
পাশাপাশি তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে দুদকের এ মামলার বিচার কার্যক্রম চলবে বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে মামলার নথি ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে পাঠানোর জন্য ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, ১৫ বছর ধরে মামলার বিচার কার্যক্রম স্থগিতের হাইকোর্টের আদেশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। বিচারিক আদালতকে এই মামলার বিচার কার্যক্রম দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালতে তারেক-জোবায়দার পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। দুদকের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
এর আগে শুনানিকালে আদালতে দুদকের আইনজীবী প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘পলাতক থাকা অবস্থায় তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমান আইনজীবী নিয়োগ করতে পারেন না।’
মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করা হয়।
মামলায় তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান ও শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। পরে একই বছরে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী পৃথক রিট আবেদন করেন। রিটে জরুরি আইন ও এ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করে স্থগিতাদেশ দেন।
সম্প্রতি জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা নিয়ে আপিল বিভাগের রায়ের পর এ মামলার রুল শুনানির উদ্যোগ নেয় দুদক। এরপর রিট মামলাগুলো কার্যতালিকায় আসে। এরপর রুল শুনানির জন্য দিন ঠিক করেন হাইকোর্ট।
এদিকে জিয়া পরিবারকে হেনস্থা করতেই মামলার শুনানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তারেক রহমানের আইনজীবীর।