উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগ আইনের খসড়া প্রণয়নের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, জাজেজ অ্যাপয়েন্টের আইন করার জন্য ড্রাফ্ট করা হচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নুর প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
শ্রম আদালত প্রসঙ্গে সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নুর প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, অলরেডি আমরা ৬টি লেবার কোর্ট বাড়িয়েছি। আরো বাড়ানোর প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে দিয়েছি।
মামলা সংখ্যা বিবেচনা করে লেবার কোর্ট স্থাপন করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, মামলা কোথায় বেশি সেই বিবেচনায় প্রথমে সেখানে লেবার কোর্ট বাড়ানো হয়েছে। তবে পর্যায়ক্রমে দেশের সব বিভাগে লেবার কোর্ট প্রতিষ্ঠা করা হবে।
আনিসুল হক বলেন, উনি আরেকটা প্রস্তাব করেছেন শ্রম আপিল আদালতের রায়ের পর যেন হাইকোর্টে রিট করতে দেওয়া না হয়। মাননীয় স্পিকার আমি এটা পারবো না। রিট করার অধিকার সংবিধানে দেওয়া হয়েছে। এটা আমি বন্ধ করতে পারবো না, এটা আইনের শাসনের পরিপন্থী হবে।
বিএনপির সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘উপযুক্ত বিচার না হওয়ায় দেশের সর্বোচ্চ আদালতে একের পর এক জামিন জালিয়াতির ঘটনা ঘটছে, এমন তথ্য সঠিক নয়। উচ্চ আদালতে জামিন জালিয়াতির কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। এ ধরনের অনভিপ্রেত জামিন জালিয়াতি বন্ধে জড়িত অপরাধীদের শনাক্ত করে ফৌজদারি আইনে বিচারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’
এছাড়া সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহমেদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, ‘রেজিস্ট্রার ও সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে কর্মরত নকলনবীশের সংখ্যা ১৬ হাজার ২৪৫ জন। নকলনবীশদের চাকরি রাজস্ব খাতে ন্যস্ত করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করা হয়েছে। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।’ শিগগিরই ইতিবাচক সিদ্ধান্ত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন আইনমন্ত্রী।