অ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরীকে পাবলিক প্রসিকিউটর নিয়োগ
অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী

অ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরীকে পাবলিক প্রসিকিউটর নিয়োগ

চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর পদে নিয়োগ পেয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী।

আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের আইন ও বিভার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগ থেকে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে প্রেরিত এক পত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আব্দুছ ছালাম মণ্ডল সই করা পত্রে বলা হয়, অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরীকে পাবলিক প্রসিকিউটর পদে নিয়োগ প্রদানের জন্য আইনজীবীর পেশাগত দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও সততা সম্পর্কে চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ বা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত তাঁকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯২ ধারা এবং এল আর ম্যানুয়েল এর ২নং অধ্যায়ের ২৭(১৭) বিধির প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সাময়িকভাবে পাবলিক প্রসিকিউটর পদে নিয়োগ প্রদান করা হলো।

ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী চট্টগ্রাম সিটি কলেজ থেকে ইসলামিক ইতিহাসে সম্মান ও ১৯৮৯ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কৃতিত্বের সাথে আইন পাস করেন।

তিনি বিএনসিসির সদস্য হিসেবে তিনটি জাতীয় প্যারেডে অংশ নেন। ক্যাডেটদের সর্বোচ্চ পদক ‘সিইউও’ হিসেবে ক্যাডেট জীবন শেষ করেন তিনি। বর্তমানে বাংলাদেশ রেলওয়ে চট্টগ্রাম স্কাউটের সহকারী পরিচালক হিসেবে আছেন। তিনি বাংলাদেশ এক্স ক্যাডেট এসোসিয়েশন চট্টগ্রাম চেপ্টারের ভাইস প্রেসিডেন্ট।

১৯৮০ সালে কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে তিনি কবিতা ও বিতর্ক সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৮২ সালে সংস্কৃতি সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৮৩-৮৪ সালে যথাক্রমে জিএস ও ভিপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৫ সালে সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।

অ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী ২০০৭ সালে জেলা আইজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৯ সালে সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে জাহানারা ইমামের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া ২০০০ সালে খন্ডকালীন পিপি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।