আমিনুল গণি: অধিকাংশ আইনজীবী প্রথম দশ বছর নিজের ব্যক্তিগত খরচ জোগার করতে পারেন না, পরিবারকে আর্থিক সহায়তা করা তো অনেক দূরবর্তী ব্যাপার। এই সত্যের জন্য অন্য কারো নিকট তথ্য খোঁজার দরকার নেই। আর্থিক অনিশ্চয়তার সেই সব দিন আমি নিজে তিল তিল অনুভব করেছি।
যদিও আমার পিতা একজন শিক্ষিত এবং ঢাকা শহরে একটি পৌনে দুই কাঠার বাড়ি তিনি করতে পেরেছিলেন। সহস্র দুপুর আমি অভুক্ত থেকেছি। এই দীর্ঘ সময়কে কিভাবে পার করেছি তা নিয়ে একটি লা মিজারেবল লিখা সম্ভব।
যখন অন্য অন্য পেশায় আমার বন্ধুরা কাজের প্রথম দিন থেকে আর্থিক নিরাপত্তায় জীবন শুরু করেছেন তখন আমরা সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য প্রাণপণ সংগ্রাম করছি। অর্থাৎ আমাদের কর্ম জীবনের এক তৃতীয়াংশ সময় রোজগারহীন কাটাতে হয়েছে।
কোনো কর্তৃপক্ষ সে দায়িত্ব নেয়নি আর পরিবার কিংবা সমাজ কেউ কি আমার পাশে সহানুভূতির হাত বাড়িয়েছিল? সবাই সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মায় না সবার বাপ, চাচা, মামা, খালু, ফুপু, খালা বা শ্বশুরবাড়ির পৃষ্ঠপোষকতা পায় না।
একজন আইনজীবীকে নিজ যোগ্যতায় সফল হতে হয়। তার জন্য প্রয়োজন পরিশ্রম অধ্যবসায় আর যার ধারাবাহিক ফলাফল আর্থিক স্বচ্ছলতা। আইনজীবীদের ফিস (পারিশ্রমিক) আইনজীবী নির্ধারণ করবেন, মোয়াক্কেলের স্বাধীনতা আছে কাকে তিনি নিয়োগ দেবেন বা দেবেন না। বিচারাধীন বলে নিজেকে সংযত করছি প্রয়োজনে আরো অনেক কিছু বলবো।
লেখক: আইনজীবী।