চট্টগ্রামে ৬৬৮ কোটি টাকা ঋণখেলাপির মামলায় মোহাম্মদ ইলিয়াস ব্রাদার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সহ তিন জনকে পাঁচ মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা ইস্যু করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন।
দণ্ডিতরা হলেন- শিল্প প্রতিষ্ঠানটির এমডি শামসুল আলম, চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ও পরিচালক নুরুল আলম।
আদালতে অগ্রণী ব্যাংকের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মো. বদরুল রিয়াজ।
অগ্রণী ব্যাংকের আইন কর্মকর্তা মোঃ জাহিদ হোসেন ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে বলেন, খেলাপি ঋণ আদায়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দেওয়ানী আটকাদেশ চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছিল। শুনানি শেষে আদালত তিন ঋণখেলাপিকে পাঁচ মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন। তারা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা ইস্যু করা হয়েছে।
অগ্রণী ব্যাংক আগ্রাবাদ কর্পোরেট শাখা ২০১২ সালে একটি অর্থঋণ মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় ২০১৫ সালের ৪ জুন ডিক্রি পায় ব্যাংক। তারপর ২০১৫ সালের ১৮ নভেম্বর ৩৭৮ কোটি ৩৩ লাখ টাকা আদায়ে জারি মামলা করে আদালত।
২০১৬ সালের ১১ আগস্ট ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে দেওয়ানী আটকাদেশের আবেদন করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত শোকজ করে ২০ দিনের মধ্যে সময় দিতে আদেশ দেন। কিন্তু আসামিপক্ষ সেই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করেন।
২০১৭ সালের ৬ জুন হাইকোর্ট জারি মামলাটি প্রথমে ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন। পরে এক বছরের জন্য স্থগিত করেন। এরপর মামলাটি স্থগিত করার আর কোনো আদেশ আদালতে জমা হয়নি।
পরবর্তীতে ২০২০ সালের ৮ মার্চ ডিক্রিদার ব্যাংক ঋণখেলাপিদের সঙ্গে এক সোলেনামা (আপস-মীমাংসার দলিল) করে। কিন্তু সেই সোলেনামার শর্ত ভঙ্গ করেন ঋণখেলাপিরা। পরে সোলেনামা বাতিল হয়ে যায়।
এরপর চলতি বছরের ৭ জুলাই সুদে আসলে ঋণখেলাপিদের কাছ থেকে ৬৬৮ কোটি ৬০ লাখ ৫৭ হাজার টাকা আদায়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দেওয়ানী আটকাদেশ দেওয়ার আবেদন করে ব্যাংক। শুনানি শেষে আদালত তিন ঋণখেলাপিকে পাঁচ মাস করে কারাদণ্ডাদেশ দেন।