কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের চার অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
দুদক সচিব জানান, সম্প্রতি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর গ্রামীণ টেলিকমের পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ সম্বলিত একটি প্রতিবেদন দুদকে জমা দিয়েছে।
অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে
- অনিয়মের মাধ্যমে শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে বণ্টনের জন্য সংরক্ষিত লভ্যাংশের ৫ শতাংশ অর্থ লোপাট
- শ্রমিক-কর্মচারীদের পাওনা পরিশোধকালে অবৈধভাবে অ্যাডভোকেট ফি ও অন্যান্য ফির নামে ৬ শতাংশ অর্থকর্তন
- শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলে বরাদ্দকৃত সুদসহ ৪৫ কোটি ৫২ লাখ ১৩ হাজার ৬৪৩ টাকা বিতরণ না
করে আত্মসাৎ এবং - কোম্পানি ধেকে দুই হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা পাচারের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরের মাধ্যমে আত্মসাৎ।
সচিব জানান, অভিযোগ সম্বলিত প্রতিবেদন কমিশন পর্যালোচনা করে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনুসন্ধান শুরু হলে আপনার জানতে পারবেন এর সঙ্গে কে কে সম্পৃক্ত। পরিচালনা পর্ষদের সবার কাছে থেকে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা তথ্য নেবেন। যে বিধিবিধান রয়েছে সে মোতাবেক অনুসন্ধান কর্মকর্তা পদক্ষেপ নেবেন।