নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ টেলিকমের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় রিটকারীদের আইনজীবী প্রতিষ্ঠানটির চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের কাছ থেকে ১২ কোটি নয়, ১৬ কোটি টাকা ফিস নিয়েছেন বলে প্রতিবেদন আকারে হাইকোর্টে জানানো হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২ আগস্ট) বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চে ইউসুফ আলীর আইনজীবীরা এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিকদের কাছ থেকে ১৬ কোটি টাকা ফিস নিয়েছেন আইনজীবী ইউসুফ আলী। আর অবশিষ্ট ১০ কোটি টাকা রয়েছে ট্রেড ইউনিয়নের কাছে।
মঙ্গলবার বিচারপতি খুরশীদ আলম সরকারের কোম্পানি বেঞ্চে এ প্রতিবেদন তুলে ধরলে হাইকোর্ট বলেন, ড. ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিকদের সমঝোতা বিষয়ে কোন অনৈতিক কিছু হয়েছে কি না তা দুদক দেখবে।
হাইকোর্ট আরও বলেন, কে কত টাকা নিয়েছেন সেটি পরিষ্কার করুন।
শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি অর্থ না দিয়ে কেন ট্রেড ইউনিয়নের কাছে দেয়া হলো সে প্রশ্নও রাখেন হাইকোর্ট। আদালত বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন সম্পর্কে মানুষের ভালো ধারনা নেই।
আগামী বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে আদেশ দেবে হাইকোর্ট।
এদিকে হাইকোর্টের মন্তব্যকে ব্যঙ্গ করে ফেসবুকে এক আইনজীবীর পোস্ট দেয়াকে কেন্দ্র করে, উষ্মা প্রকাশ করেন আদালত।
প্রসঙ্গত, নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ টেলিকমের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় রিটকারীদের আইনজীবী ১২ কোটি টাকার বিনিময়ে সমঝোতা করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে।
এদিকে মামলা সমঝোতার জন্য নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মালিকানাধীন গ্রামীণ টেলিকম থেকে ১২ কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠা আইনজীবী ইউসুফ আলীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। ৩ জুলাই অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলী নিজেই বিষয়টি জানিয়েছেন।