বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একজন ভিন্ন প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। বাঙালি জাতির প্রতি তাঁর পরম ভালোবাসা ছিল। তিনি মনে করতেন, বাঙালির মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করার সম্পূর্ণ দায়িত্ব তাঁর এবং ঠিক সেভাবেই তিনি বাঙালির মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করে গেছেন।
বঙ্গবন্ধুর ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালনের প্রস্তুতিমূলক সভায় রোববার (৭ আগস্ট) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আনিসুল হক বলেন, তরুণ প্রজন্মকে পরিষ্কারভাবে জানানো দরকার, একজন ফকির হত্যার বিচার হলেও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার বিচার দীর্ঘ ২১ বছর বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। এ জন্য ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ ও আইন জারি করা হয়েছিল।
সভায় জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে গতানুগতিক আয়োজনের বাইরে ভিন্নধর্মী কিছু কাজ করার পরামর্শ দেন আইনমন্ত্রী। বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবনে কী করে গেছেন এবং আজকের বাস্তবতায় তার প্রাসঙ্গিকতা কী, শোক দিবসের অনুষ্ঠানে তা নিয়ে আলোচনার পরামর্শ দেন। এ ছাড়া এ বছর বড় পরিসরে শোক দিবসের অনুষ্ঠান পালনের নির্দেশ দেন তিনি।
সভায় আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবির, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সভায় নির্ধারণ করা হয়, আইন মন্ত্রণালয় ১৬ আগস্ট এতিমখানায় খাবার বিতরণ করবে। এ ছাড়া ২১ আগস্ট দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে।