শ্রীকান্ত দেবনাথ : ‘অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানো’র অভিযোগে ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবং ৩ উপপরিদর্শক (এসআই) সহ ছয়জনের বিরুদ্ধে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জেলা সদর আমলী আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আশেকুর রহমানের আদালতে গত বুধবার (১০ আগস্ট) মামলাটি দায়ের করা হয়। বাদী লুৎফুন নাহার এর পক্ষে মামলাটি দায়ের করেন আইনজীবী ফারহান নুর ফাহিম।
আদালত আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তদন্তের অগ্রগতি জানাতে ও আগামী ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে নির্দেশ দিয়েছেন। আদালত পুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে দিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য পিবিআইকে নির্দেশ প্রদান করেন।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন, একই থানার এসআই এমরান হোসেন, এসআই নারায়ণ চন্দ্র দাস ও এসআই হাবিবুর রহমান। এছাড়াও মো. সৈকত ও সাব্বির হোসেন নামে দুই ব্যক্তি।
মামলার নালিশী দরখাস্ত থেকে জানা যায়, গত ২২ জুলাই ঢাকার পল্টনের বিজয়নগর এলাকা থেকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহায়তায় ফেনী মডেল থানা পুলিশ ফেনী জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি জসিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যমতে তাঁর বাসায় অভিযান চালিয়ে একটি কালো রংয়ের ৭.৬৫ এমএম পিস্তল, একটি ম্যাগজিন ও চার রাউন্ড গুলি ও দুটি ছোরা উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ফেনী মডেল থানা পুলিশ বাদী হয়ে জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা দায়ের করেন। তবে জসিম উদ্দিনের পরিবার দাবি করে, অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা মিথ্যা ও সাজানো।
পরিবারের অভিযোগ, জসিম উদ্দিনকে পুলিশ নিজেদের আনা অস্ত্র দিয়ে ফাঁসিয়ে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে। আর সেই কারণে জসিম উদ্দিনের স্ত্রী বাদী হয়ে দন্ডবিধি, ১৮৬০ এর ১৪৩/৪৪৮/১২০(খ)/৩৮৫/৩৮০/৩২৩/৪২৭/৩৫৪/৫০৬(।।)/৩৪ ধারায় ফেনী মডেল থানার পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।