রাজধানীর উত্তরায় নির্মাণাধীন বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের গার্ডার ক্রেন থেকে ছিটকে পড়ে প্রাইভেটকারে থাকা শিশুসহ পাঁচজন নিহত হওয়ার মতো মর্মান্তিক ঘটনার যেন আর কখনো পুনরাবৃত্তি না হয় এবং ওই পথে চলাচকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা চেয়ে রিট আবেদন দায়ের করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি দায়ের করেন উত্তরার বাসিন্দা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শেগুফ্তা তাবাসসুম আহমেদ।
রিট আবেদনে এমন ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয় সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে এ পথে চলাচলকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে।
আবেদনে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি), বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটি) -এর প্রধান প্রকৌশলী, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট ১০ জনকে বিবাদী করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত পূর্বক বিবাদীরা যেন আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন রিটে সেই আর্জিও জানানো হয়েছে।
রিট আবেদনের বিষয়টি অ্যাডভোকেট শেগুফ্তা তাবাসসুম আহমেদ ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আবেদনটির ওপর মাননীয় বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি হতে পারে।
রিট আবেদনের কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ ঘটনাটি যখন ঘটে, আমি ঘটনাস্থলের আশেপাশেই ছিলাম। এটি আমার সঙ্গেও ঘটতে পারতো। তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না হলে যে কারো সাথেই যেকোন সময় এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
অ্যাডভোকেট শেগুফ্তা জানান, যাদের অবহেলার কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে তাঁদেরকে এ বিষয়ে আদালতে প্রতিবেদন দিতে হবে, জড়িতদের চিহ্নিত করে জনসম্মুখে এনে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। এমন ঘটনা যেন আর কখনই কারো সঙ্গে না ঘটে সেজন্য স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে উত্তরা জসীম উদ্দীন এলাকার আড়ংয়ের সামনে বিআরটি প্রকল্পের গার্ডার ক্রেন থেকে ছিটকে পড়ে রাস্তায় চলন্ত প্রাইভেটকারে থাকা পাঁচজন যাত্রী নিহত হন। আহত হন আরও দুজন।
সোমবারের এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনার আগে গত ১৫ জুলাই বিকেলে চান্দনা চৌরাস্তার কে চৌধুরী অ্যান্ড কোম্পানি ফিলিং স্টেশনের সামনে গার্ডার চাপায় জিয়াউর রহমান (৩০) নামে এক নিরাপত্তারক্ষী নিহত হন।