নতুন নির্বাহী পরিষদ গঠন করেছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। পরিষদে চেয়ারপারসন নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম (জেড আই) খান পান্না।
আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)-এর সাধারণ সভায় নতুন এ নির্বাহী পরিষদ গঠিত হয়েছে। গত শনিবার (২০ আগস্ট) সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সংস্থার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আছেন ফাতেমা রশীদ হাসান এবং কোষাধ্যক্ষ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন রোকসানা খন্দকার।
এছাড়া অন্যান্য নির্বাহী পরিষদ সদস্যরা হলেন- অ্যাডভোকেট ফয়েজ আহমেদ, অ্যাডভোকেট রওশন জাহান পারভীন, সানজিদা ইসলাম, মাবরুক আহমেদ এবং ব্যারিস্টার হেলাল উদ্দিন চৌধুরী।
অন্যদিকে, আসক’র নির্বাহী পরিচালক হিসেবে যোগদান করেছেন বিশিষ্ট মানবাধিকারকর্মী মো. নূর খান। গত ২০ আগস্ট তিনি এ পদে যোগদান করেন।
প্রসঙ্গত, আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) বাংলাদেশের একটি বেসরকারী সংস্থা যারা মানবাধিকার নিয়ে কাজ করার পাশাপাশি আইনগত সহায়তাও দিয়ে থাকে। এটি বাংলাদেশের প্রথম সারির একটি মানবাধিকার সংগঠন যারা বিশেষভাবে শ্রমিক ও নারী অধিকার নিয়ে কাজ করেন।
এছাড়াও সংস্থাটি বাংলাদেশী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক ঘটা মানবাধিকার লঙ্ঘনসমূহ বিভিন্ন সময় তুলে ধরেন। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সংস্থাটি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং জাতিসংঘ অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের পরামর্শক হিসেবে কাজ করে থাকে। ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশের প্রখ্যাত আইনজীবীরা একত্রিত হয়ে সংস্থাটি গঠন করেন।
আইন ও সালিশ কেন্দ্র আন্তর্জাতিক সংস্থা ছাড়াও বাংলাদেশে মানবাধিকার ও সামাজিক এবং লিঙ্গভিত্তিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করা স্থানীয় বিভিন্ন সংস্থার সাথে যৌথভাবে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এসব কার্যক্রম পরিচালনায় স্থানীয় সংস্থাগুলোর সহয়তায় বাংলাদেশের ১০টি জেলায় ৪০টি ইউনিয়নে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
এছাড়াও তাদের কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে শ্রমজীবী শিশুদের মৌলিক শিক্ষা প্রদান। শিশু নির্যাতন ও তাদের অধিকার রক্ষায় বিভিন্ন সময় সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে থাকে।