অর্থ কেলেঙ্কারিতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাককে নিম্ন আদালতের দেওয়া ১২ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ বহাল রেখেছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
আজ মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) মালয়েশিয়ার প্রধান বিচারপতি তেংকু মাইমুন তুয়ান মাত এই রায় ঘোষণা করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির জাতীয় তহবিল ‘ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বারহাদ’-এ প্রায় শতকোটি ডলার অর্থ কেলেঙ্কারিতে তিনি দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর তাকে এই কারাদণ্ড দেওয়া হয় এবং শেষ আপিলে তার শাস্তি পেছানোর অনুরোধ খারিজ করে দেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত।
রয়টার্স জানায়, ২০২০ সালের জুলাইতে ৬৯বছর বয়সী নাজিবকে দেশটির নিম্ন আদালত ক্ষমতার অপব্যবহার, ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বারহাদের একটি সাবেক ইউনিট এসআরসি ইন্টারন্যাশনাল থেকে অনৈতিকভাবে ১ কোটি ডলার আত্মসাৎ এবং সেই অর্থ পাচারে মানি লন্ডারিংয়ের দায়ে আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ১২ বছরের কারাদণ্ড এবং ২১ কোটি রিঙ্গিত জরিমানা করেন।
এরপর থেকে মীমাংসাধীন আপিল ও জামিনে রয়েছেন নাজিব রাজাক।
দেশটির প্রধান বিচারপতি তেংকু মাইমুন তুয়ান মাত বলেন, নাজিবের শাস্তির পরিমাণ ঠিকই আছে। আদালত সর্বসম্মতিক্রমে নাজিবের সমস্ত আপিল খারিজ করেছেন।
এদিকে আদালতকে নাজিব বলেন, বিচারবিভাগ সম্পূর্ণভাবে আমার বিরুদ্ধে যেভাবে কাজ করেছে তা খুবই অন্যায়।
বিচারকদের মন্তব্যের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বারহাদ থেকে প্রায় সাড়ে ৪০০ কোটি ডলার চুরি হয়। ঘটনাটি ঘটে ২০০৯ সালে।
তদন্তকারীদের মতে, চুরি যাওয়া অর্থের প্রায় ১০০ কোটি ডলার নাজিবের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে খুঁজে পান। তবে এখন পর্যন্ত সবগুলো ট্রায়ালে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করেন নাজিব।