দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সহকারী অথরাইজ অফিসার মো. আলী আজম মিয়াকে ছয় বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে অসাধু উপায়ে অর্জিত কোটি টাকা বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯-এর বিচারক শেখ হাজিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে তাকে পাঁচ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও এক কোটি ৩৬ লাখ ৫৪ হাজার ৫১০ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। অসাধু উপায়ে অর্জিত এক কোটি ৩৬ লাখ ৫৪ হাজার ৫১০ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেন আদালত।
এছাড়া আরেকটি ধারায় তাকে এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। এ অর্থ অনাদায়ে তাকে আরও একমাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে দুই ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে। সেক্ষেত্রে আসামিকে পাঁচ বছর কারাভোগ করতে হবে বলে আদেশে উল্লেখ করেন আদালত।
এ মামলার আসামি আলী আজম মিয়া পলাতক থাকায় তার অনুপস্থিতিতে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। এরপর তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন বিচারক।
মামলা সূত্রে জানা যায়, এক কোটি ৪৭ লাখ ৮৫ হাজার ২০২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ৫৬ লাখ ৮৭ হাজার ১১০ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদকের উপ-পরিচালক রাহিলা খাতুন ২০১৭ সালের ১৩ এপ্রিল রমনা থানায় মামলা করেন। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুদকের তিনি আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দেন।