ব্যাংকবহির্ভূত বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস লিমিটেডের ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা অর্থ ফেরত পাবেন। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা বোর্ডে পক্ষ থেকে হাইকোর্টকে জানানো হয়েছে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ৫৮২ জন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীকে অর্থ ফেরত দেওয়া হবে।
পরিচালনা বোর্ডের আইনজীবী ব্যারিস্টার মেজবাহুর রহমান আজ সোমবার (২৯ আগস্ট) বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ তথ্য জানিয়েছেন।
পরে ব্যারিস্টার মেজবাহুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ৫৮২ জন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী যারা পিপলস লিজিংয়ে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত রেখেছিলেন তাদের অর্থ ফেরত দেওয়া হবে। তাদেরকে ৩ কোটি ৭০ লাখ ফেরত দেবে পিপলস লিজিং।
এর আগে গত বছরের ২৮ জুন পি কে হালদার কাণ্ডে আলোচনায় আসা আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড পরিচালনার জন্য ১০ সদস্যর বোর্ড গঠন করে দেন হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কামাল উল আলমকে বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেন হাইকোর্ট।
বোর্ডের সদস্য হিসেবে সাবেক সচিব আনোয়ারুল ইসলাম শিকদার, জেলা ও দায়রা জজ (অব.) হাসান শাহেদ ফেরদৌস, পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল হালিম চৌধুরী, ব্রিগেডিয়ার (অব.) কাজী তাওফিকুল ইসলাম, এফসিএ নুর-ই খোদা আব্দুল মবিন ও মাওলা মোহাম্মাদ, প্রতিষ্ঠানটির সঞ্চয়কারীদের প্রতিনিধি ডা. নাশিদ কামাল, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের চেয়ারম্যান ড. নুরুল কবির এবং আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মাদ জালালুদ্দিনকে রাখা হয়েছে।
তবে গত ১ জুন স্বাস্থ্যগত কারণে পিপলস লিজিংয়ের পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান থেকে পদত্যাগ করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কামাল উল আলম। পরে অবসরে থাকা জেলা ও দায়রা জজ (অব.) হাসান শাহেদ ফেরদৌসকে চেয়ারম্যান মনোনীত করা হয়।
এর আগে প্রতিষ্ঠানটি পুনর্গঠন বা পুনরুজ্জীবিত করার নির্দেশনা চেয়ে ২০১ জন আমানতকারী হাইকোর্টে আবেদন করেন।