বন্ডের অধীনে আমদানি করা কাপড় খোলাবাজারে বিক্রির অবৈধ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিস্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
পাশাপাশি রিট আবেদনকারীর আনীত সংশ্লিষ্ট দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে কেন তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। মামলার বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এছাড়াও আদালত অন্তবর্তীকালীন আদেশে দুদকের চেয়ারম্যান, এনবিআর চেয়ারম্যান, কমিশনার অব কাস্টমস, কাস্টমস বন্ড কমিশনার এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে বাদীর আবেদন তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
পরবর্তী দুই সপ্তাহের মধ্যে এফিডেভিট আকারে তা আদালতে দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে আদালত বিভিন্ন কোম্পানির বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিষয়ে আনীত অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
পরে মনজিল মোরসেদ জানান, সরকার গার্মেন্টস পণ্য রফতানির জন্য বন্ডের অধীনে শুল্কমুক্ত কাপড় আমদানির অনুমতি দিয়েছিল। কিছু ব্যবসায়ী সেই কাপড় সরকারের শুল্ক ফাঁকি দিয়ে একটি বড় অংশ খোলা বাজারে বিক্রি করছে। এই দুর্নীতির মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা আয় করছেন তারা।
তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অজানা কারণে নিরব থাকার বিষয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় খবর প্রকাশিত হলে বিষয়টি সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংক, দুদক, সিআইডি এবং কাস্টমস কর্তৃপক্ষের নিকট তদন্ত করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের লিখিত অভিযোগ জানানো হয়।
কিন্তু কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় চট্টগ্রামের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন গত ২৯ আগস্ট হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। সে রিটের শুনানি নিয়ে রুলসহ আদেশ দিলেন হাইকোর্ট, যোগ করেন রিট আবেদনকারীর আইনজীবী।