গাজীপুরের টঙ্গী শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র (বালক) ও কোনাবাড়ী শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র (বালিকা) পরিদর্শন করেছেন সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন। চলতি সপ্তাহের শুরু দিকে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র দুটি পরিদর্শন করেন তিনি।
পরিদর্শন শেষে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এসময় বালকদের থাকার জন্য জায়গা অপ্রতুল উল্লেখ করে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘বালিকাদের উন্নয়ন কেন্দ্র মোটামুটি ঠিক আছে। তবে বালকদের উন্নয়ন কেন্দ্রে আসনসংখ্যা রয়েছে মাত্র ৩০০ জনের। অথচ সেখানে শিশুর সংখ্যা প্রায় ৮০০। তাদের বসবাসের জন্য ত্বরিত ভবন নির্মাণ করা প্রয়োজন।’
‘তাদের ট্রেনিং, স্বাস্থ্য, মানসিক বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের চিন্তা করতে হবে। সারা দেশে অনেক বালক ক্রাইমের সঙ্গে জড়িত, সে ব্যাপারে সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে। আমাদের মাননীয় চিফ জাস্টিসও এসব ব্যাপারে খুবই সোচ্চার। সে জন্য তিনি আমাকে এসব সেন্টার পরিদর্শনের দায়িত্ব দিয়েছেন’, যোগ করেন তিনি।
অসহায় ও দুস্থ মানুষের কল্যাণে সংবাদকর্মীদের দায়িত্বশীলতার সঙ্গে সংবাদ প্রচারের আহ্বান জানিয়ে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সাংবাদিকদের ভুল হতে পারে, এমনকি জুডিসিয়ালেরও ভুল হতে পারে। মানুষমাত্রই ভুল হয়। তবে চেষ্টা করতে হবে, যাতে সংবাদের মাধ্যমে অসহায় ও দুস্থ মানুষ উপকৃত হয়।
এ সময় গাজীপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মমতাজ বেগম, গাজীপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ) শামীমা আফরোজ, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান, সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইডের কর্মকর্তা (অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ) ফারাহ মামুন, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক এস এম আনোয়ারুল করিম, এ টি এম তৌহিদুজ্জামান, শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের (বালিকা) তত্ত্বাবধায়ক কে এম ওবায়দুল্লাহ আল মাসুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
নিয়মিত পরিদর্শনের অংশ হিসেবে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন গাজীপুরের টঙ্গী শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র (বালক) ও কোনাবাড়ী শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র (বালিকা) পরিদর্শন করেছেন বলে জানান জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক এস এম আনোয়ারুল করিম।
তিনি বলেন, বিচারপতি খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছেন, এসব কেন্দ্রে অনেক শিশুই আছে, যাদের এখানে রাখার প্রয়োজন নেই। এমন শিশুদের বিস্তারিত তথ্য তিনি চেয়েছেন।