পথচারীর পকেটে মাদক দিয়ে তাকে মামলার আসামি বানানোর ঘটনায় ক্যান্টনমেন্ট থানায় মাদক আইনে দায়ের করা মামলায় সেই পুলিশসহ তিনজনের বিরুদ্ধে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শেখ সাদী এ আদেশ দেন।
এ তিন আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। একই সঙ্গে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের প্রয়োজনে প্রত্যেকের পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে পুলিশ। পরে আদালত এএসআই মাহবুব ও সোর্স সোহেল এবং রুবেলের দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে ৭ সেপ্টেম্বর এএসআই মাহবুবুল আলমের পথচারীর পকেটে ইয়াবা ভরে তাকে ফাঁসানোর চিত্র ধরা পড়ে বেসরকারি টিভি চ্যানেল একাত্তর টেলিভিশন।
সেখানে দেখা যায়, পল্লবী থানার সাদা পোশাকধারী এএসআই মাহবুবুল আলম একজন সোর্সের কাছ থেকে ইয়াবার প্যাকেট নিয়ে ভুক্তোভোগী খলিলের পকেটে পুরে দেন।
তারপর উল্টো তাকেই মারধর করতে করতে একটি অটো রিকশায় তুলে নেন অভিযুক্ত এএসআই।
নগরীর খিলক্ষেত এলাকার ঘটা সেই ঘটনার ভিডিও, ছবি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
সেসময় এএসআই মাহবুবুল আলম প্রতিবেদকের কাছে দাবি করেন, কয়েকদিন ধরেই খলিলকে ধরতে তারা অভিযান চালিয়ে আসছিল। সর্বশেষ খিলক্ষেতে এলাকায় তাকে ধরতে সক্ষম হয়েছেন। উদ্ধার হয়েছে ১৩৫ পিস ইয়াসা।
প্রসঙ্গত, বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) একাত্তরের সংবাদ প্রচারের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রত্যাহার করা হয় অভিযুক্ত এএসআই মাহবুব আলম। পরে মামলা হলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সে সময় বলেন, একাত্তরের সংবাদ দেখার পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে এএসআই মাহবুব আলমকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ সংশ্লিষ্ট একটি মামলাও হয়েছে।