বঙ্গবন্ধুর আর্দশে উজ্জীবিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির প্রায় ২০০ জন আইনজীবী টুঙ্গিপাড়াস্থ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কবর জিয়ারত ও মোনাজাত করেছেন। এরপর বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
আজ শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু মোহাম্মদ হাশেম ও সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের সদস্য সচিব এ.এইচ.এম. জিয়াউদ্দিনের নেতৃত্বে আইনজীবীরা বঙ্গবন্ধুর কবর জিয়ারত ও মোনাজাত শেষে সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন করেন।
এ সময় সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের স্টিয়ারিং কমিটির নেতৃবৃন্দ ও সমিতির সাবেক সভাপতি যথাক্রমে মাহবুব উদ্দিন আহমদ, মো. ইব্রাহীম হোসেন চৌধুরী বাবুল, রেজাউল করিম চৌধুরী, মোহাম্মদ মুজিবুল হক, শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অশোক কুমার দাশ, মো. আবদুর রশীদ, আইয়ুব খান, সিনিয়র আইনজীবী এম.এ.নাসের চৌধুরী, কাজী নজমুল হক, দিন মনি দে, জাহাঙ্গীর আলম, সামসুল আলম, চন্দন বিশ্বাস, মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, সুস্বপন বিশ্বাস, জহির উদ্দিন মাহমুদ এবং কার্যনির্বাহী পরিষদের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজ উদ্দিন হায়দার, অর্থ সম্পাদক এম. সালাউদ্দিন মনসুর চৌধুরী রিমু, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন দোয়েল, নির্বাহী সদস্য এ.এন.এম. রোকনুজ্জামান (মুন্না), খোরশেদ আলম, সেলিনা আকতার, শ্যমল চৌধুরীসহ অসংখ্য আইনজীবী।
শ্রদ্ধা নিবেদনকালে নেতৃবৃন্দগণ বলেন, বাঙ্গালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধু আমাদের চেতনা ও আর্দশের প্রতীক। তাঁর কবর জিয়ারত আমাদের সুপ্ত চেতনাকে আরো বেশী দুঢ় ও সমৃদ্ধ করবে। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর আহবানে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাঙালি জাতি ঝাপিয়ে পড়েছে। দেশ গড়ার প্রক্রিয়া শুরুর কালে দেশীয় ও আন্তজার্তিক চক্রান্ত স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে খুন করা হয়েছে।
বক্তারা আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা আজ রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব গ্রহণ করে খুনীদের বিচার করে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করেছেন। তাঁর হাত ধরেই দেশের গণতন্ত্র, বিচার ব্যবস্থা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন অভাবনীয়ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। পদ্মা সেতু কে নিয়ে সকল চক্রান্ত জননেত্রী শেখ হাসিনা রুখে দিয়েছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার দুরদর্শিতা ও নেতৃত্বে পদ্মা সেতু আজ দৃশ্যমান।
তাঁরা বলেন, এখনোও কিছু সংখ্যক ১৯৭১ এবং ১৯৭৫ ঘাতকদের প্রেতাত্মারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকারের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রমকে ধ্বংস করার জন্য নাশকতার পথ বেছে নিয়েছে। এদেরকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে প্রতিহত করতে হবে।