ঘুষ গ্রহণের সময় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ফাঁদে আটক হওয়া ফেনীর কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট সুপারিনটেনডেন্ট গোলামুর রহমানকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে আসামিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আসামির উপস্থিতিতে মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) নোয়াখালীর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এ.এন.এম. মোরশেদ খান এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত গোলামুর রহমান চট্টগ্রামের ডবলমুড়ি উপজেলার মোগলটলি বাজারের বাসিন্দা।
আদালত আসামিকে দণ্ডবিধি ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের পৃথক ধারায় এ সাজা প্রদান করেন। দন্ডবিধির ১৬১ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে গোলামুর রহমানকে ২ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন।
এছাড়া দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ৩ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন। আসামীর বিরুদ্ধে প্রদত্ত সাজা একইসঙ্গে (Simultaneously) চলবে বলেও রায়ে উল্লেখ করেন বিচারক।
ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ
হাজী সেলিম চট্টগ্রামের একজন ব্যবসায়ী। তিনি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে গার্মেন্টস সামগ্রী নিলামের মাধ্যমে খরিদ করেন। ২০০৮ সালের ১৯ নভেম্বর তাঁর ক্রয়কৃত গার্মেন্টস সামগ্রী চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ঢাকায় পাঠাচ্ছিলেন।
আসামি গোলামুর রহমান ও ইন্সপেক্টর মোঃ শাহজাহান তার কাবার্ড ভ্যানে থাকা বৈধ মালামালকে অবৈধ ঘোষণা করেন এবং তার ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য ২ লক্ষ টাকা ঘুষ দাবি করেন। অভিযোগকারী হাজী সেলিম ৬০ হাজার টাকা দিতে রাজি হন।
বিষয়টি দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এ অভিহিত করলে কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে ঘুষ দেয়ার সময় তৎকালীন দুর্নীতি দমন কমিশনের সরকারী পরিচালক শেখ আব্দুস সালামের নেতৃত্বে হাতেনাতে আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
এরপর আইনি প্রক্রিয়া মেনে আসামির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় সকল বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে উপর্যুক্ত সাজা প্রদান করে রায় ঘোষণা করেন।