১৪ সেপ্টেম্বর বুধবার সিরাজগঞ্জের কাজিপুর পারিবারিক আদালতে একজন ভুয়া মহিলা নিজেকে বাদী পরিচয় দিয়ে আপোষে আসামীকে জামিন করাতে এসে আদালতের কাছে ধরা পড়ে। ঐ আদালতের বিচারক মোঃ লোকমান হাকিম পরে তাকে আমলী আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী সাব্বির হোসেন ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে জানান, ০৬/২০১১ নং মামলায় উক্ত মহিলা নিজেকে বাদী পরিচয় দিয়ে তার কারাবন্দী স্বামীকে জামিনে মুক্ত করতে চেয়েছিল এবং একইসাথে বিচারাধীন মামলা প্রত্যাহার করতে চেয়েছিল। জবানবন্দি গ্রহণ করার সময় সন্দেহের ভিত্তিতে বিচারক মোঃ লোকমান হাকিম কথিত বাদীর স্বাক্ষরের সাথে মামলার কাগজ ও নথিস্থ স্বাক্ষর মিলিয়ে দেখেন। এর প্রেক্ষিতে উভয় স্বাক্ষরে গড়মিল দেখা দেয়ায় কথিত সাক্ষ্য প্রদানকারী মহিলা যে ভুয়া তা প্রাথমিকভাবে বুঝতে পারেন। পরে উক্ত মহিলাকে ও তার সাথে আসা কথিত দেবরকে জেরা করে অনেক অসংগতিপূর্ণ তথ্য পান। এরপর উক্ত মহিলার স্থানীয় চেয়ারম্যান ও উক্ত ভুয়া মহিলার দুই শিশু সন্তানকে আদালতে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে মহিলা যে ভুয়া তা নিশ্চিত হন। সকল বিষয় বিবেচনা করে কারাগারে থাকা আসামীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন এবং এই ঘটনায় আমাকে বাদী হয়ে মামলা করার নির্দেশ দেন।
উক্ত ঘটনায় ঐ আদালতের বেঞ্চ সহকারী এজাহার দায়ের করেন এবং পুলিশ উক্ত ভুয়া মহিলাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আমলী আদালতে উপস্থাপন করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়।
আদালত সূত্রে আরও জানা গেছে, ঐ আদালতের বিচারক মোঃ লোকমান হাকিম এই মামলায় নিয়োজিত এডভোকেটদের ডেকে এই ঘটনার ব্যাখ্যা চাইলে তারা এমন অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য বিব্রত হয়ে নি:শর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে না এবং আদালতে মামলা পরিচালনায় আরও সচেতন হবেন মর্মে প্রতিশ্রুতি দিলে বিচারক তাদের ক্ষমা করে দেন।