ভূমি অপরাধ ও হয়রানি বন্ধে এবার চালু হচ্ছে ডিজিটাল ‘কেস সিস্টেম’। এর আওতায় দেশের সব উপজেলায় সহকারী কমিশনার থেকে শুরু করে কোন পর্যায়ে কী ধরনের কেস বা মামলা কোন পর্যায়ে আছে, সেটির তালিকা কেন্দ্র থেকে জানতে পারবে ভূমি মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে নামপত্তনের ক্ষেত্রে কোন তহশিলে কতদিন প্রতিবেদন আটকে আছে, তাও জানা যাবে।
এ বিষয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোস্তাফিজুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, সরকারি দপ্তরগুলোতে জমিসংক্রান্ত অনেক মামলা দীর্ঘদিন ধরে আটকা থাকছে। ফলে জনহয়রানি বাড়ছে। বছরের পর বছর ধরে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ায় আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
তিনি বলেন, এই অবস্থা থেকে জনসাধারণকে পরিত্রাণ দিতেই একটি ডিজিটাল ভূমি ব্যাংক থাকবে, যেখানে প্রতিটি মামলার বৃত্তান্ত উল্লেখ থাকবে। যে ক্ষেত্রে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মামলার নিষ্পত্তি হবে না, সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অফিসকে জবাবদিহির আওতায় আনা সম্ভব হবে। একই সঙ্গে মোট জমির একটা পরিসংখ্যানও পাওয়া যাবে।
ভূমি সচিব বলেন, এখন কী পরিমাণ জমি নিয়ে কী ধরনের কত মামলা রয়েছে, তার কোনো পরিসংখ্যান সরকারের হাতে এককভাবে নেই। ফলে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত নিতে না পারায় জনহয়রানির দায় সরকারকে নিতে হয়।
আগামী মাসেই পাইলট ভিত্তিতে এই পদ্ধতি চালু হবে বলে জানান সচিব। কেন্দ্রে বসেই সব তথ্য পাওয়া যাবে।
এদিকে বেশির ভাগ তহশিল অফিস দিনের পর দিন প্রতিবেদন আটকে রাখার কারণে নামজারি বা নাম পত্তন নিয়ে জনদুর্ভোগ দেখা যাচ্ছে। এখন সব তহশিল অফিস থেকে অনলাইনে সব নামজারি-সম্পর্কিত তথ্য আনা হবে। কী কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নামজারি-সম্পর্কিত প্রতিবেদন বিলম্ব হচ্ছে, সেটি জেনে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা বা ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।