মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো, ভাঙচুর, মুঠোফোন ও টাকা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগে চট্টগ্রাম নগরের বায়েজীদ বোস্তামী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামানসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. অলি উল্লাহ আদালতে গত বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) নালিশি মামলাটি করেন নগরের বায়েজীদ বোস্তামী থানার আমিন জুট মিল এলাকার মো. রুবেল।
মামলার বাকি আসামিরা হলেন বায়েজীদ বোস্তামী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আজাহার ইসলাম, মনিরুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম, নাজিবুল ইসলাম, তানভীরুল আজম, বশির গাজী, আসাদুর রহমান, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. শাহাদাত, আবুল হাশেম, সাইফুল ইসলাম, আবদুল মালেক, লিটন শীল ও মো. রবিউল এবং পুলিশের সোর্স মো. শাহজাহান।
বাদীর আইনজীবী আজিজুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, আদালত বাদীর বক্তব্য গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পদ মর্যাদার কর্মকর্তাকে দিয়ে তদন্তের জন্য বলেছেন আদালত।
মামলায় মো. রুবেল অভিযোগ করেন, গত বছরের ২৩ নভেম্বর আসামিরা তাঁর ঘরে প্রবেশ করে জিনিসপত্র ভাঙচুর করে। এতে দুই লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। দুদিন পর ২৫ নভেম্বর নগরের বাগদাদ হোটেলের সামনে থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে বায়েজীদ বোস্তামী থানা-পুলিশ। তবে তাঁর বিরুদ্ধে কোনো পরোয়ানা ছিল না। এর আগে তিন লাখ টাকা চাঁদা চেয়েছিল পুলিশ। সেই চাঁদা না দেওয়ায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরা থেকে সবকিছু মুছে দেওয়া হয়।
মামলায় আরও বলা হয়, গাড়িতে তোলার পর মো. রুবেলের পকেটে থাকা ২৩ হাজার ৫০০ টাকা ও মুঠোফোন কেড়ে নেয় পুলিশ সদস্যরা। ওইদিন রাতে থানায় নিয়ে আসার পর আবার তাঁকে ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁকে ইয়াবা ও অস্ত্র মামলায় আদালতে পাঠায় পুলিশ। গত ১৫ সেপ্টেম্বর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে মামলা করেন তিনি।
জানতে চাইলে বায়েজীদ বোস্তামী থানার সাবেক ওসি বর্তমানে রংপুর রেঞ্জে কর্মরত মো. কামরুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, রুবেল পুলিশের তালিকাভুক্ত একজন মাদক ব্যবসায়ী। তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশের খাতায় পাঁচটি মামলা রয়েছে। পুলিশ তাঁর কাছে কোনো চাঁদা দাবি করেনি।