রাজশাহীতে বিচারক দম্পতি খাদ্যে বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর গতকাল শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজশাহীর অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল অধিকারী নগরের রাজপাড়া থানায় এ মামলা করেন।
আজ রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, খাদ্যে বিষক্রিয়ার জন্য বিচারক জুয়েল অধিকারী গতকাল রাতে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এতে বলা হয়েছে, বিচারক জয়ন্তী রানীর ১৩ বছর বয়সী এক ভাতিজি তাঁদের বাসায় থাকত। একটি ছেলের সঙ্গে এই কিশোরীর সম্পর্ক আছে। সকালের নাশতায় ওই কিশোরী কিছু মিশিয়ে বিচারক দম্পতিকে অসুস্থ করে ওই ছেলের সঙ্গে চলে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে খাবারের সঙ্গে কী মেশানো হয়েছিল, তা নিশ্চিত করে বলা হয়নি।
ওসি জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, ঘটনার পর থেকে ওই কিশোরীকে পাওয়া যাচ্ছে না। লিখিত অভিযোগে ওই ছেলেরও নাম আছে। এ ব্যাপারে তাঁরা তদন্ত শুরু করেছেন। দুজনের খোঁজে এলাকায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে রাতেই থানায় মামলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার খাদ্যে বিষক্রিয়ার পর বিচারক জুয়েল অধিকারী (৪২) ও তাঁর স্ত্রী অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জয়ন্তী রানীকে (৪০) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে জয়ন্তী রানীকে ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে ও জুয়েল অধিকারীকে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। তাঁদের ভর্তির কাগজে লেখা ‘ফুড পয়জনিং’। পরে জয়ন্তী রানীকে কেবিনে ও জুয়েল অধিকারীকে আইসিইউতে পাঠানো হয়। তাঁরা কী বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য পাকস্থলী থেকে নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউর ইনচার্জ আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। তবে কী কারণে বিষক্রিয়া, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। খুব অল্প পরিমাণে বিষক্রিয়া হওয়ায় তা ডোপ টেস্টে ধরা পড়েনি।