ভরণপোষণ ও সন্তানদের পড়ালেখার খরচের দাবিতে স্ত্রী ইসরাত জাহানের দায়ের করা মামলায় বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার আল-আমিন হোসেনের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালত এ আদেশ দেন।
এদিন আদালতে আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত ৫ হাজার টাকা মুচলেকায় আগামী ৬ অক্টোবর পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ২৭ সেপ্টেম্বর আল-আমিনকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন।
মামলায় অভিযোগে বলা হয়, ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক ইসরাত জাহান ও আল-আমিন বিবাহ করেন। তাদের দুটি পুত্র সন্তান রয়েছে। বড় ছেলে মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজে ইংরেজি ভার্সনে কেজিতে পড়ালেখা করছে। বেশ কিছুদিন যাবৎ আল-আমিন স্ত্রী ও সন্তানদের ভরণপোষণ প্রদান করেন না এবং খোঁজও না নিয়ে এড়িয়ে চলছেন, যোগাযোগও করেন না।
অভিযোগে আরও বলা হয়, গত ২৫ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে আল আমিন বাসায় এসে স্ত্রীর কাছে যৌতুকের জন্য ২০ লাখ টাকা দাবি করেন। ইসরাত জাহান টাকা দিতে অস্বীকার করলে আল-আমিন তাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষিসহ লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। তার সঙ্গে আর সংসার করবে না বলে জানায়। ইসরাত জাহান ৯৯৯-এ টেলিফোন করে সাহায্য চাইলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন ইসরাত জাহান। এ ঘটনায় ১ সেপ্টেম্বর মিরপুর মডেল থানায় মামলাও হয়।
এরপর গত ৩ সেপ্টেম্বর আল-আমিন তার মায়ের মাধ্যমে জানান, ইসরাতের সঙ্গে সংসার করবে না এবং সন্তানদের ভরণপোষণ দেবেন না। প্রয়োজনে বাসা থেকে বের করে দিয়ে স্ত্রীকে তালাক দেবেন।
বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে আসক্তির কারণেই আল-আমিন এমন কাজ করেছেন বলে অভিযোগ করেন তার স্ত্রী। তিনি অভিযোগে বলেন, আল-আমিন এক নারীর সঙ্গে ওঠানো ছবি তার কাছে পাঠিয়েছে। তিনি স্ত্রী-সন্তানদের বাসা থেকে বের করে অন্যত্র বিয়ে করবেন বলেও জানিয়েছেন। দুই বছর যাবৎ আসামি বাদীর খোঁজখবর নেয় না এবং বাসায় নিয়মিত থাকে না। যার কারণে ইসরাত তার দুই সন্তানসহ বসতবাড়িতে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করার অধিকারসহ মাসিক ভরনপোষণ দাবি করে মামলাটি দায়ের করলেন।
ইসরাত জীবন ধারণের জন্য প্রতি মাসে ৪০ হাজার, দুই সন্তানের ভরণপোষণ ও ইংলিশ মিডিয়ামে লেখাপড়া বাবদ ৬০ হাজার টাকা আল-আমিনের কাছে পাওয়ার হকদার বলে মামলায় উল্লেখ করেন।