রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌসীকে নির্যাতনের অভিযোগে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রীভা ও সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানাসহ নাম উল্লেখ করে আট জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে।
আজ বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মোস্তফা রেজা নুরের আদালতে এ আবেদন করেন জান্নাতুল ফেরদৌসী। বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আদালত জানিয়েছেন, এ বিষয়ে পরে আদেশ দেওয়া হবে।
এ মামলার অন্য আসামি হলেন- ইডেন কলেজের নুজহাত ফারিয়া রোকসানা, আয়েশা ইসলাম মিম, নূরজাহান, ঋতু আক্তার, আনিকা তাবাসুম স্বর্ণা ও কামরুন নাহার জ্যোতি। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ২৫ থেকে ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী নূর-ই-আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরজিতে বাদী অভিযোগ করেন , গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রিভা ও সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানার নির্দেশে রাত ১০টার সময় আনিকা তাবাসুম স্বর্ণাসহ অজ্ঞাত ৩ থেকে ৪ জন দেশীয় অস্ত্রসহ বাদী জান্নাতুল ফেরদৌসের রুমে প্রবেশ করে। অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করে তাকে খুঁজতে থাকে। কিন্তু ওই সময় জান্নাতুলকে না পেয়ে তার আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এবং তার ওয্যারড্রপে থাকা চিকিৎসার ২০ হাজার টাকা ও ব্যবহৃত ল্যাপটপ (মূল্য ৩৪ হাজার টাকা) চুরি করে নিয়ে যায়। রুমে বাকিদের জীবননাশের হুমকি দেয়।
খবর পেয়ে জান্নাতুল রুমে আসার পথে আয়শা হলের সামনে রিভা-রাজিয়াসহ আট আসামি তাকে ঘিরে ধরে। এরপর রিভা তার হাতে থাকা হকিস্টিক দিয়ে আঘাত করে। আর রাজিয়াসহ বাকি আসামিরা তার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে দুদিক থেকে টান দেয়। এ সময় জান্নাতুল মাটিতে লুটিয়ে পরলে মৃত ভেবে আসামিরা তাকে ছেড়ে যায়। পরে তার হাত থেকে ২০ হাজার টাকার মোবাইল ফোন, গলায় থাকা ৩৫ হাজার টাকার স্বর্ণের চেন ছিনিয়ে নেয়।
খবর পেয়ে হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাডামরা জান্নাতুল ফেরদৌসকে উদ্ধার করে। তাকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করা হয়। পরে ক্যাম্পাস না ছাড়লে তার জীবনে শেষ করে দেবে মর্মে হুমকি দেয়। এদিকে ওই ঘটনায় লালবাগ থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ আদালতে মামলা দায়ের করার পরামর্শ দেয় বলে বাদী জানান।