অনুমোদন ব্যতীত ওয়াকি-টকি সেট (পিএমআর ও এসবিআর) ক্রয়, বিক্রয় এবং ব্যবহার থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন (বিটিআরসি)। এ নির্দেশনা অমান্য করলে আইন অনুযায়ী দায়ী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিটিআরসি’র স্পেকট্রাম বিভাগের উপ-পরিচালক প্রকৌশলী মেহফুজ বিন খালেদ সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে গত রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০১ (সংশোধিত-২০১০) এর ধারা ৫৫ (১) অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি লাইসেন্স ছাড়া বাংলাদেশ ভূখণ্ড বা আঞ্চলিক সমুদ্রসীমা বা আকাশসীমায় বেতার যোগাযোগের উদ্দেশ্যে কোনো বেতার যন্ত্রপাতি স্থাপন, পরিচালনা বা ব্যবহার করবেন না বা কোনো বেতার যন্ত্রপাতিতে কমিশন বরাদ্দ করা ফ্রিকোয়েন্সি ছাড়া অন্য কোনো ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করবেন না।
আইনের উপরোক্ত বিধানের আলোকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে আবেদনের ভিত্তিতে এবং প্রয়োজনের যৌক্তিকতা বিবেচনায় নিয়ে ওয়াকি-টকি সেট আমদানি ও ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়। অনুমোদন ব্যতীত বিভিন্ন তরঙ্গে ব্যবহার্য ওয়াকি-টকি সেট (পিএমআর ও এসবিআর) ক্রয়, বিক্রয় এবং ব্যবহার সরাসরি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০১ (সংশোধিত-২০১০)-এর লঙ্ঘন। অনেক ক্ষেত্রে তা রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্যও হুমকিও হতে পারে।
জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ইতোমধ্যে একাধিকবার দেশের বহুল প্রচারিত বিভিন্ন দৈনিক সংবাদপত্র, বিটিআরসির ওয়েবসাইট ও ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে, টিভি স্ক্রলে বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়েছে এবং দেশের সকল মোবাইল ফোন গ্রাহককে এ সম্পর্কিত এসএমএস পাঠানো হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, এ ধরনের কার্যক্রম থেকে সম্পূর্ণভাবে বিরত থাকার জন্য সবাইকে অনুরোধ করা যাচ্ছে। অন্যথায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০১ (সংশোধিত-২০১০) অনুযায়ী দায়ী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।