মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সুচিকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। সরকারি গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনের জন্য দোষী সাব্যস্ত করে দেশটির একটি সামরিক আদালত এ রায় ঘোষণা করেছে। খবর আল জাজিরার।
গত বছর অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বেসামরিক সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী। সে সময় সুচিসহ বেসামরিক সরকারের বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক বাহিনী বেসামরিক সরকারকে উৎখাতের পর সুচির বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধে অন্তত ২০টি মামলা করা হয়েছে।
এর আগে দেশদ্রোহীতা, দুর্নীতিসহ আরও বেশ কয়েকটি অভিযোগে তাকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেয় মিয়ানমারের সামরিক আদালত। এছাড়া গত আগস্টে দুর্নীতির চার মামলায় তাকে আরও ৬ বছর সাজা ঘোষণা করা হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন সামরিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সুচির তিন বছরের সাজা ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে তার অর্থনৈতিক উপদেষ্টা শন টার্নেলকেও দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে এবং তাকেও তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের পাঁচদিন পর অস্ট্রেলিয়ার সিডনির ম্যাককুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবিদ টার্নেলকে গ্রেফতার করা হয়। তবে অস্ট্রেলিয়ার দূতাবাসকে তার বিচারে অংশ নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি এবং বিচারের সময় তার সঙ্গে কোনো অনুবাদককেও রাখা হয়নি।
রয়টার্স নিউজ এজেন্সিকে এই কার্যক্রমের সঙ্গে পরিচিত একটি সূত্র জানিয়েছে, তাদের প্রত্যেককে তিন বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে কঠোর শ্রম অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি। এর আগে টার্নেল এবং অং সান সুচি দুজনেই আগস্টে সাক্ষ্য দেওয়ার সময় এই মামলার অভিযোগ অস্বীকার করেন।
এদিকে জান্তা সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই দেশজুড়ে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ শুরু হয়। তবে কঠোর হাতে বিক্ষোভ দমন করছে সামরিক বাহিনী। এখন পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার ৫শ মানুষ নিহত হয়েছে এবং আটক হয়েছে আরও ১২ হাজার ৫শ মানুষ।