ভারতে ১০ বছরের শিশুকে টানা দুই বছর ধরে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে ১৪২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন কেরালার এক পকসো আদালত। একইসঙ্গে আসামিকে পাঁচ লাখ রুপি জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও তিন বছর জেল খাটতে হবে তাকে।
দণ্ডিত ব্যক্তির নাম আনন্দন পি আর ওরফে বাবু (৪১)। সাজা প্রাপ্ত আনন্দন ওই নির্যাতিতা নাবালিকার আত্মীয়।
জানা গেছে, শিশুটি বাবুরই এক আত্মীয়ের মেয়ে। শিশুটির মা, বাবার সঙ্গে একই বাড়িতে বাবু বসবাস করতেন। আত্মীয় বাবুকে বিশ্বাস করতেন শিশুটির মা, বাবা। সেই সুযোগ নিয়ে দিনের পর দিন ধরে শিশুটির ওপর অত্যাচার চালিয়েছেন বাবু।
ঘটনা জানাজানি হলে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। গত বছরের ২০ মার্চ তিরুভাল্লা পুলিশ একটি অভিযোগ নথিভুক্ত করে। এতে লেখা ছিল, ২০১৯ থেকে ২০২১-এর মধ্যে একটি ১০ বছরের শিশুকে লাগাতার ধর্ষণ করা হয়েছে। পাশাপাশি চলেছে যৌন নির্যাতনও।
তারপর গ্রেপ্তার করা হয় বাবুকে। তোলা হয় আদালতে। রায়ে পকসো আদালত জানায়, বাবুকে ১৪২ বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হলো। পাশাপাশি ৫ লাখ টাকা জরিমানাও দিতে হবে তাকে। জরিমানা দিতে ব্যর্থ হলে অতিরিক্ত আরও তিন বছর জেল খাটতে হবে।
পাথানামথিট্টা জেলা পুলিশ বলেছে, মামলায় সাক্ষীর বক্তব্য, মেডিকেল রেকর্ড এবং প্রমাণ প্রসিকিউশনের পক্ষে শক্তিশালী ছিল। উল্লেখ্য, কেরালার পাথানামথিট্টার পকসো আদালত এর আগে এত দীর্ঘ শাস্তির সাজা কাউকে শোনায়নি।
যদিও ১৪২ বছরের সাজা খাতায় কলমে হলেও বাস্তবে তা সম্ভব নয়। কোনও ব্যক্তি অত বছর বাঁচতে পারেন না। সব মিলিয়ে ওই ব্যক্তিকে ৬০ বছর জেলে থাকতে হবে। অর্থাৎ বাকি জীবন জেলেই কাটবে ধর্ষণের অভিযোগে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির।