বিভিন্ন কারণে দেশের প্রচলিত আদালতগুলোতে মামলা জট তৈরি হয়েছে। এসব আদালতে মামলার চাপ কমাতে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) পদ্ধতির প্রয়োগ বাড়াতে হবে এবং দ্রুত ও স্বল্প ব্যয়ে এ সেবা দিতে হবে।
রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ডিসকাশন অন মিটিং দ্য নিডস অভ জাস্টিস সিকারস’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে শনিবার (১৫ অক্টোবর) প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।
এ বিষয়ে জনগণকে ব্যাপকভাবে সচেতন করতে হবে উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, এডিআর পদ্ধতির সফল প্রয়োগ আনুষ্ঠানিক মামলার বোঝা কমিয়ে সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষার ক্ষেত্রেও সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলবে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শুরুর দিকেই আদালত কর্তৃক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ জারি করা হয় এবং পরবর্তীতে তা আইনে পরিণত করা হয়। এই আইন প্রণয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশে ভার্চুয়াল আদালত ব্যবস্থার প্রবর্তন হয় এবং এর মাধ্যমে জনগণের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার চালু রাখা সম্ভব হয়।
আনিসুল হক বলেন, ভরা করোনার সময় কারাগারে অতিরিক্ত ভিড় কমাতে এই আদালত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভার্চুয়াল আদালত প্রবর্তন বাংলাদেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার অভিযাত্রায় এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
তাছাড়া লকডাউনের সময় অনলাইনে ২৪ ঘণ্টা সরকারি আইনি সহায়তা কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছিল ৷ লিগ্যাল এইড অফিসগুলোর হটলাইন খোলা রাখা হয়েছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের সহযোগিতায় ইউএসএআইডির প্রমোটিং পিস অ্যান্ড জাস্টিস (পিপিজে) অ্যাকটিভিটির উদ্যোগে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সভায় ২০টি জেলার জেলা ও দায়রা জজ এবং লিগ্যাল এইড অফিসাররা অংশগ্রহণ করেন।
আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো.গোলাম সারওয়ারের সভাপতিত্বে সভায় ইউএসএআইডি বাংলাদেশের মিশন পরিচালক ক্যাথরিন ডি. স্টিভেনস, ইউএসএআইডি প্রমোটিং পিস অ্যান্ড জাস্টিসের চিফ অফ পার্টি হেদার গোল্ডস্মিথ, ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া, আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব ড. শেখ গোলাম মাহবুব প্রমুখ বক্তৃতা করেন।