হিতোপদেশ নয় সাধারণ আইনজীবীদের বাস্তবতা
আইনজীবী মো. জুয়েল মুন্সি সুমন। ছবি : সংগৃহীত

হিতোপদেশ নয় সাধারণ আইনজীবীদের বাস্তবতা

আমিনুল গণি: ডিজিটাল উন্নতির যুগে আদালতের প্রতিটি বিষয় ভিজ্যুয়াল রেকর্ড হওয়া দরকার। কে, কি আচরণ করি, কি বক্তব্য রাখি, তার দালিলিক প্রমাণ থাকা আবশ্যক। ঘটনার সত্যতা থাকলেও একজন আইনজীবী কোনো বিচারককে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারেন না কারণ সেই আইনজীবীর পেশা হুমকির মধ্যে পরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং তার মোয়াক্কেল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

উল্লেখ্য যে, কোনো বিজ্ঞ আইনজীবী কোনো বিষয়ে আদালতে যৌক্তিক প্রতিবাদ করলে অন্যান্য আইনজীবী বন্ধুদের অধিকাংশ বিচারকের পক্ষে গিয়ে সেই আইনজীবীকেই ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেন এবং এ ধরনের অসহায়ত্ব নিয়েই আমরা আমাদের পেশা চালিয়ে যাই।

একজন আইনজীবীকে মামলা সংক্রান্ত সব কিছু পেশাদারী দৃষ্টিভঙ্গিতেই দেখা উচিত এবং কোনো আইনজীবীরই উচিত নয় মোয়াক্কেলের অন্যায্য দাবীকে প্রশ্রয় দেয়া এবং মামলার ফলাফল তার অনুকূলে এনে দেবেন এমন প্রতিশ্রুতি দেয়া। তাহলে একজন আইনজীবীকে কখনোই বিতর্কিত বা প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না।

এ কথা সত্য অধিকাংশ বিচারক মনে করেন তাদের কোনো ত্রুটি নেই। ফ্রান্সিস বেকন থেকে এস কে সিনহা হয়তো অন্যতম ব্যতিক্রম! যে বিজ্ঞ আইনজীবীকে মোয়াক্কেলের কথা শুনে ম্যাজিস্ট্রেট সাহেব জেলে পাঠালেন সেই একই ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে একশো আইনজীবী যদি বলেন তিনি ঘুষ ছাড়া জামিন দেন না তাহলে কি তাকে জেলে পাঠানো হবে?

আমাদের আইনজীবী নেতাদের সম্পর্কে কিছু বলতে চাই না, কারণ কে কিভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবেন সেই ভেবে আমরা সাধারণ আইনজীবীরা তটস্থ থাকি।

পরিশেষে বলি একজন আইনজীবীকে অন্যায়ভাবে অসম্মানিত করে একজন বিচারক সম্মানিত হতে পারেন না। সকলের শুভবুদ্ধির উদয় হোক।

লেখক: আইনজীবী।