অ্যাডভোকেট এ. কে. এম সিরাজুল ইসলাম : Bengal Tenancy Act 1885 এর ১০৩(B) এবং ১৯৫০ ইং সনের SA & T Act (E.B Act XXVlll of 1951) এর ১৪৪(A) ধারার বিধান মতে, জরিপে চূড়ান্তভাবে প্রকাশিত খতিয়ান সাক্ষ্য-প্রমাণে ভুল প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত খতিয়ান আইনানুগ মতে সঠিক ও শুদ্ধ বিবেচিত হয়।
১৯৬৫ ইং সনে E.P Ordinance VIII of 1965 মূলে SA & T Act এ ১৪৩(A) ধারা সংযুক্ত করে খতিয়ান (Record of Right) সংশোধনের বিষয়ে মুন্সেফী আদালতে মিস কেইস রুজুর বিধান চালু হয়। কিছুদিন পর ১৪৩(A) ধারার বিধান Ordinance No. LXIV of 1975 মূলে বাতিল হয় এবং ২০০৪ ইং সনে SA & T Act (Act No. IX of 2004) এ ১৪৫ (A) ধারা সংযুক্ত করে, খতিয়ান সংশোধনের বিষয়ে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠার বিধান করা হয়।
১৮৭৭ ইং সনের Specific Relief Act (Act No. I of 1877) এর ৪২ ধারার বিধান মতে, সম্পত্তির স্বত্ত্ব ঘোষণা সহ অন্য যে কোন দেওয়ানী বিষয়ে ঘোষণামূলক মোকদ্দমা রুজুর বিধান রয়েছে।
ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল হতে সংশোধিত খতিয়ানের সম্পত্তি বাবদ দেওয়ানী আদালতে স্বত্ত্ব ঘোষণার মোকদ্দমা চলতে, (ক) আইনগত বাধা আছে কিনা? বা, (খ) ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল স্বত্ত্বের বিরোধ নিষ্পত্তি করেন কিনা? উক্ত প্রশ্নদ্বয় না বোধক হলে SA & T Act এর ১৪৫(A) ধারার আবশ্যকতা থাকে কিনা? বিষয়টি আইন প্রণেতাগণের সুবিবেচনায় নেওয়া জরুরি।
লেখক : সাবেক জি.পি, জজ কোর্ট, নোয়াখালী।