মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মানুষ মৃত্যুবরণ করছে। অথচ বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও মশা নিধনে বড় ধরনের পদক্ষেপ কিংবা দৃশ্যমান কোনো কাজ না করায় সংশ্লিষ্টদের প্রতি প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্ট।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মশার উপদ্রব থেকে সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিট আবেদন শুনানিতে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার (২০ নভেম্বর) এ প্রশ্ন তুলেন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট তানভীর আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। উত্তর সিটি করপোরেশনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রিমি নাহরিণ।
শুনানিতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আইনজীবীর উদ্দেশে হাইকোর্ট বলেছেন, “ডেঙ্গুতে মানুষ মারা যাচ্ছে, কিন্তু মশা মারতে পারছেন না কেন? ৭৬ কোটি টাকা বরাদ্দ, এটা দিয়ে বড় ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া যায়। কিন্তু আপনারা দৃশ্যমান কোনো কাজ করছেন না।”
এদিন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মশা নিধনে সিভিল অ্যাভিয়েশন, সিটি করপোরেশনসহ সবপক্ষকে একসঙ্গে বসে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি এই বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মশার উপদ্রব থেকে সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে ২০১৯ সালের ৩ মার্চ রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ। ওই সময় হাইকোর্ট রুল জারি করেন।
এ ছাড়া সম্পূরক আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২০ ফেব্রুয়ারি বিমানবন্দরে মশা নিয়ন্ত্রণে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে সার্ভে করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
তানভীর আহমেদ জানান, নির্দেশ অনুযায়ী সিভিল অ্যাভিয়েশন সার্ভে রিপোর্ট দাখিল করে। তাতে দেখা যায় বিমানবন্দরে এডিস ও কিউলেক্স মশার উপদ্রব রয়েছে। আর মশা নিধনের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৭৬ কোটি টাকা।
বিমান ও পর্যটন সচিব, বেসরকারি বিমান কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিমানবন্দরসংলগ্ন ওয়ার্ড কমিশনারকে চার সপ্তাহের মধ্যে ওই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার শুনানি হয়।