খুলনা ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের সাবেক বিচারক (বর্তমানে চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা জজ) নির্মলেন্দু দাশের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের ঘটনায় খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সাইফুল ইসলামসহ তিন আইনজীবীকে অব্যাহতি দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে বিচারকদের সঙ্গে আইনজীবীদের অসৌজন্যমূলক আচরণকে ভবিষ্যতে আর ক্ষমা করা হবে না বলে সতর্ক করেছেন আদালত। এ বিষয়ে সব জেলা আইনজীবী সমিতিকে সতর্ক বার্তা দিতে বার কাউন্সিলকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (২৩ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) সাইফুল ইসলামসহ তিন আইনজীবী হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। ক্ষমা চাওয়ার পর আজ (বুধবার) তাদের সতর্ক করে ভবিষ্যতে এমন কাজ থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
আদালত বলেন, পরপর দুবার এমন ঘটনা ঘটলো। এবার মাফ করা হলো। কিন্তু ভবিষ্যতে আর না।
গত ২২ সেপ্টেম্বর বিচারক নির্মলেন্দু দাশের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের ঘটনায় তিন আইনজীবীর বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়ে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দেওয়া হয়। এরপর তিন আইনজীবীকে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার তাদের উদ্দেশে আদালত বলেন, আপনারা বিচারকের সঙ্গে যে আচরণ করেছেন, কোনো সভ্য সমাজের মানুষ সেটি করতে পারেন না।
আদালতে আইনজীবীদের পক্ষে ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট বার সভাপতি অ্যাডভোকেট মোমতাজ উদ্দিন ফকির, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা, বার কাউন্সিল সদস্য রবিউল আলম বুদু, সুপ্রিম কোর্ট বার সম্পাদক আব্দুন নূর দুলাল, অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি।
এর আগে গত ১ নভেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে আদালত অবমাননার রুলসহ এ আদেশ দেন। ওইদিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
গত ২২ সেপ্টেম্বর পাঠানো চিঠিটি প্রধান বিচারপতির কাছে উপস্থাপন করেন রেজিস্ট্রার জেনারেল।
গত ২৫ অক্টোবর প্রধান বিচারপতি বিষয়টি বিচারপতি জে বি এম হাসানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে উপস্থাপন করতে বলেন। সে অনুসারে নির্দিষ্ট বেঞ্চে অভিযোগ উপস্থাপন হলে আদালত ১ নভেম্বর রুল জারি করে তিন আইনজীবীতে তলব করেন।