প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, দেশের মানুষকে নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ বা লঘিষ্ঠ যারা বলে তারা সংবিধানের চেতনার বিরুদ্ধে বলে। একাত্তর (মুক্তিযুদ্ধ) কে তারা কীভাবে দেখেন আমার জানা নেই।
বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতি ভবনে আয়োজিত বিজয়া পুনর্মিলনী-২০২২ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, ধর্ম মানুষের দৈনন্দিন জীবনে পথ দেখাতে সাহায্য করে এবং আধ্যাত্মিকতার পরিপূর্ণতা দান করে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে উল্লেখ আছে, এ দেশের সব মানুষের ধর্ম ও নিরাপত্তার অধিকার সমান। আইনের বিচারে সব ধর্মই সমান মর্যাদাসম্পন্ন। তাই যে কোনো ধর্ম অবমাননা বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
তিনি বলেন, ধর্ম যার যার কিন্তু বাংলাদেশ আমাদের সবার। রাষ্ট্র সবার না হলে নাগরিকরা রাষ্ট্রের সঙ্গে একাত্মতা অনুভব করতে পারবে না। ফলে রাষ্ট্র নাগরিকদের থেকে আনুগত্য আশা করতে পারবে না। আমাদের সংস্কৃতি সব ধর্মকে ও মানুষকে এক সারিতে আনতে পেরেছে বলে সব ভেদাভেদ ভুলে ভাষার জন্য আন্দোলন করে আমরা জয়ী হয়েছি।
মহান মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের সবার অহংকার। এ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে জীবন বিসর্জন দিয়েছেন মুসলিম, হিন্দু বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ সব সম্প্রদায়ের মানুষ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেন অ্যাডভোকেট দীপায়ন চন্দ্র সাহা। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সিনিয়র আইনজীবী মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ রেজাউর রহমান, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুন নুর দুলাল, অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী পূর্নাত্ননন্দজী মহারাজ, অ্যাডভোকেট বিশ্বজিৎ রায় ও অ্যাডভোকেট দীপায়ন চন্দ্র সাহা।